ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম একটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস।ভোটার আইডি
কার্ড ছাড়া আপনি কোথাও কোন কাজ করে শান্তি পাবেন না। যেখানে যান না কেন যে
আবেদন করুন না কেন আপনার ভোটার আইডি কার্ড সঙ্গে লাগবে। কিন্তু দেখা যায়
আমাদের ভোটার আইডি কার্ডটি অনেক সময় সংশোধনের প্রয়োজন পড়ে।
কারও বাবার নাম, কারও মায়ের নাম, কারও জন্ম তারিখ, কারও ঠিকানা এই সব ভুল হয়। এই
ভুলগুলো আপনি অনলাইন অথবা অফলাইন দুইভাবেই করতে পারেন। তবে এখন সরকারি ভাবে
অনলাইনে ভোটার আইডিকার্ড সংশোধনের আবেদন করা হচ্ছে ।আজ এগুলো আমরা ধীরে ধীরে
সবগুলো জানব কী ভাবে ভোটার আইডিকার্ড সংশোধন করা যায়।
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম এর জন্য প্রথমে আপনাকে Bangladesh NID Application System এই ওয়েভ সাইট ভিজিট করতে হবে। এরপর আপনার NID নাম্বার, জন্মতারিখ দিয়ে
প্রথমে আপনার একটি আইডি রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। এরপর আপনার মোবাইল নম্বর,
ঠিকানা,ফেস ভেরিফিকাশন করে একাউন্ট করতে হবে। এর পর আপনার অ্যাকাউন্ট খোলা হয়ে
গেলে আপনার NID কার্ডের ড্যাশবোরড গিয়ে এডিট অপশনে গিয়ে আপনার যাবতীয় তথ্য
গুলো পূরণ করুন।
আপনার তথ্য গুলো পুরোনো হয়ে যাবার পর পুনরায় চেক করে নিন যাতে করে কোনো কিছু ভুল
না থাকে। এখন আপনাকে সরকারি ফি পরিশোধ করে সাবমিট করে দিতে হবে। সাবমিট করার আগে
আপনার যে সকল তথ্যগুলো জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চাই সেগুলো প্রমাণসহ আপলোড করতে
হবে। আপনি ভোটার আবেদনে যে তথ্যটি সংশোধন করতে চান তার প্রমাণ সত্যয়িত করে জমা
দিতে হবে। এরপর আপনার সকল তথ্যগুলো জমা দেওয়ার পরে,এপ্রোভ হয়ে গেলে মেনু অপশন
থেকে ডাউনলোড অপশনে ক্লিক করে আপনার এন আইডি কার্ডটি ডাউনলোড করুন।
ভোটার আইডিকার্ড সংশোধন করতে কতো দিন লাগবে
ভোটাধিকার সংশোধন করতে কত দিন সময় লাগবে সেটা নির্ভর করবে আপনার আবেদনের
ক্যাটাগরির উপর। যখন আপনি কি কাজের জন্য সংশোধন করবেন তখন আপনাকে প্রয়োজনীয়
কাগজপত্রগুলো সঠিক ভাবে পূরণ সহ জমা দিতে হবে। কাগজপত্র আবেদনের সময় সাধারণত
ভাবে সংশোধনের জন্য রিইস্যু করতে ৬০ দিন সময় লাগে সর্বোচ্চ। তবে অনলাইনে
যথাযথভাবে কাগজপত্র জমা দিয়ে আবেদন করলে ১৪ থেকে সর্বোচ্চ ২১ দিনের মধ্যে এটি
অ্যাপ্রুভ হয়ে যায়। আবেদনের ক্যাটাগরির ওপর নির্ভর করে আপনার সংশোধনের সঙ্গে
নির্ধারিত হয়।
তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে থানা বা উপজেলাতেই কাজ নিষ্পত্তি হয়ে যায়। তবে কিছু
কিছু কাজ নিষ্পত্তি হয় জেলা নির্বাচন অফিসে।তবে বেশী সমস্যা হলে সরাসরি
আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসে বা নির্বাচন কমিশনের মহা সচিব নিজে এই কাজের অনুমোদন
দিয়ে থাকে। তবে স্থানীয় ভাবে কোনও নির্বাচন হলে আপনার সময়সীমা বেড়ে যাবে।
তা ছাড়া আপনার কাগজপত্রের কোনও জটিলতা বা ভেরিফিকেশন জন্য পুনরায় তদন্তের
সময়সীমা বেড়ে যাবে। তবে আপনার মূল জটিলতা হচ্ছে ক্যাটাগরির ওপর নির্ভর করে
সময়সীমা নির্ধারিত হয়ে থাকে।
ভোটার আইডিকার্ড সংশোধন করতে কতো টাকা লাগবে
ভোটাধিকার সংশোধনের জন্য সরকারি ফি জমা দিতে হয়। কারণ আপনি অনলাইনে যখন আবেদন
করবেন বা কাগজ জমা দিবেন জমা দিলে আপনার এটা হয়ে যাবে না। এজন্য আপনাকে অবশ্যই
ফি পরিশোধ করতে হবে। ভোটার আইডিকার্ড সংশোধনের জন্য সর্বনিম্ন ২৩০ টাকা থেকে
সর্বোচ্চ ৩৭৫ টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন ক্যাটাগরির জন্য জমা দিতে হবে। তবে আরও
বাড়তে পারে এবং কমতে পারে বিভিন্ন কারণে ক্যাটাগরির উপর। ভোটের আইডি কার্ডের
ফি জমা দেওয়া যায় তিনটি প্রধান শ্রেনীতে।
ব্যক্তিগত তথ্য সংশোধন
ঠিকানা পরিবর্তন
অন্যান্য তথ্য
এখন আমরা জানবো ভোটার আইডি কার্ডের সংশোধনের জন্য যে ফি জমা দিতে হবে সেটা কী
ভাবে জমা দিতে হবে তা আপনি জেনে নিন।আপনি খুব সহজেই অনলাইন এ মোবাইল অপারেটর এর
মাধ্যমে আপনি টাকা জমা দিতে পারবেন।ভোটার আইডি কার্ডের সংশোধনের ফি আপনি নগদ,
রকেট, বিকাশ মোবাইল ব্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে খুব সহজেই জমা দিতে পারবেন। এতে করে
আপনার হয়রানির শিকার অনেকটাই কমে যায়। এবং আপনি অতি সহজেই এই সার্ভিসটি পেয়ে
যাবে।
অনলাইনে ভোটার আইডিকার্ড সংশোধনের জন্য প্রথমে আপনাকে এনআইডি কার্ডে নাম্বার
আপনার জন্ম তারিখ দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। এর পরে আপনাকে মোবাইল
নাম্বার দিয়ে একাউন্ট লগ ইন করুন। এরপর আপনার প্রোফাইলে এডিট অপশনে গিয়ে যাবতীয়
তথ্য দিয়ে ফর্ম জমা দিন।সবার সুবিধার্থে ধাপে ধাপে সংশোধনের নিয়ম টি দেখান
হল।
এখন আপনাকে যার ভোটার আইডি কার্ড চেঞ্জ করতে চাচ্ছেন তাঁর ভোটার আইডি নাম্বার,
জন্ম তারিখ দিয়ে একাউন্ট সাবমিট করতে হবে। যদি ভোটার আইডি নাম্বার না থাকে,
তাহলে ভোটার স্লিপের নাম্বার দিয়ে একাউন্ট খুলতে হবে।
জাতীয় পরিচয়পত্র ঠিকানা যাচাই
এই অ্যাকাউন্ট লগ ইন করা হয়ে যাওয়ার পর আপনাকে এখন জাতীয় পরিচয়পত্র ঠিকানা
যাচাই করতে বল্বে।এখন আপনি আপনার বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা দিয়ে দিবেন।
এখন আপনি যে তথ্যে মোবাইল নাম্বারটি দিয়েছিলেন সেই মোবাইল নাম্বারটি প্রথম কিছু
সংখ্যা পড়ে ৩টি সংখ্যা দিয়ে দেখানো হবে।যে আপনার মোবাইল নম্বরটি সঠিক আছে
কিনা। যদি মোবাইল নম্বরটি সঠিক হয় তাহলে আপনাকে একটি ভেরিফিকেশন জন্য ওটিপি
পাঠান হবে।এই ৬ সংখ্যার কোডটি বসিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহন করবেন।
ভোটার আইডির তথ্য সংশোধন
আপনার প্রথম ধাপের যাবতীয় কাজ গুলো সঠিকভাবে সম্পন্ন করা হলে আপনাকে পরবর্তী
ধাপে নিয়ে যাবে। আপনার তথ্যগুলো ৩টি ধাপে পূরোন করতে হবে।
এই ধাপগুলো সঠিক ভাবে পূরণ করা হয়ে গেলে আপনার পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে।আপনাকে
নির্দিষ্ট ফি প্রদান করতে হবে।সেই ফি আপনাকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে
প্রদান করতে হবে। ফি প্রদান করা হয়ে গেলে আপনাকে আপনার যাবতীয় কাগজপত্র গুলো
আপলোড করতে হবে। আপলোড করা হয়ে গেলে আপনার সম্পূর্ণ কাজটি জমা দেওয়া শেষ। এর
পরে আপনার সবকিছু ঠিক থাকলে২১ দিনের মধ্যে আপনাকে অ্যাপ্রুভ এর মেসেজ দেবে। তার
পরে সর্বোচ্চ ৪৫দিনের মধ্যে আপনি সংশোধন NID টি পেয়ে যাবেন।
ভোটার আইডি কার্ড জন্ম তারিখ সংশোধন
ভোটার আইডি কাজে জন্ম তারিখ সংশোধনের জন্য প্রথমে আপনাকে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে
হবে। ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর আপনার অ্যাকাউন্টটি লগইন করতে হবে। এখন লগ ইন
হয়ে গেলে আপনাকে ব্যক্তগত তথ্য ঘরে সঠিক জন্ম তারিখ উল্লেখ্য করতে হবে।
যে তারিখটি আপনার সংশোধন করতে চান দিন বা মাস, বছর সেটি উল্লেখ করে জমা দিতে
হবে। এর পরে আপনাকে নির্দিষ্ট ফি জমা দিতে হবে। এখন আপনাকে জেনে নিতে হবে
জন্মতারিখ সংশোধনের জন্য কত টাকা ফি দিতে হবে। সেটি উল্লেখ করে আপনাকে মোবাইল
ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ফি জমা দিতে হবে।
আর যেহেতু আপনি জন্মতারিখ সংশোধন করতে চাচ্ছেন সেই সংশোধনের প্রমাণস্বরূপ সে
কাগজটি আপনাকে আপলোড করতে হবে। আপনি আপনার এসএসসি বা এইচ এস সি কাগজে অ্যাডমিট
কার্ড বা রেজিষ্ট্রেশন কার্ড বা সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে। এখন আপনি যে কাজটি
আপলোড করে জমা দেন না কেন তা যাতে সঠিকভাবে প্রমাণিত হয় সে ব্যাপারে খেয়াল
রাখবেন। তা না হলে আপনি আবোল তাবোল কাগজ জমা দিয়ে সংশোধনের জন্য আবেদন করলে
সেটি গ্রহণযোগ্য হবে না। পরবর্তীতে আপনার ভোগান্তি হবে।
ভোটের আগে কাজের ঠিকানা পরিবর্তন করা অনেক সহজ ব্যাপার। অনেকেরই ঠিকানায়
ভুল হয়ে থাকে।দেখা যায় অনেক সময় লেখার ভুল বা স্থানান্তরের কারণে ঠিকানা
পরিবর্তন করার প্রয়োজন হয়ে থাকে। তবে অনেক ক্ষেত্রে স্থানান্তরের কারণে এক
এলাকার ভোটার অন্য এলাকায় চলে যায়। এই কারণে অনেকেই স্থানান্তরের ভোটার তালিকা
থেকে নাম চেঞ্জ করে অন্য এলাকাই পরিবর্তন করে। ভোটাররা স্থান পরিবর্তনের জন্য
এখন অফলাইনেই কাজটি হয়ে থাকে। যদিও সকল কাজ অনলাইনে হয়।
তবে এটা যে এখন আপাতত অফলাইনে পরিচালনা হয়। আপনি খুব সহজেই ১৩ নম্বর ফরমটি পূরণ
করে যে এলাকায় আপনি স্থানান্তর করতে চান সেই এলাকার নির্বাচন কমিশন অফিসে জমা
দিতে পারেন। কাগজপত্র জমা দেওয়ার জন্য আপনাকে বিশেষ কারণ ও প্রমাণস্বরূপ ওই
এলাকায় ভোটার স্থানান্তর করতে পারেন। আপনি আগের ঠিকানায় কতদিন ধরে বসবাস করছেন
আর এখন আপনি কি কারণে স্থানান্তর হতে যাচ্ছেন সঠিক কারণ দেখিয়ে খুব সহজেই আপনি
ভোটার এলাকার ঠিকানা পরিবর্তন করতে পারেন। এই জন্য আপনাকে সঠিকভাবে ফর্মটি
পূরণ করে।
তার সাথে আপনি বর্তমান যে ঠিকানায় থাকতে চাচ্ছেন সেই ঠিকানায় বিদ্যুৎ বিলের
কাগজ বা ইউটিলিটি কাগজ সাথে জমা দিয়ে আপনি সেবাটি গ্রহণ করতে পারেন। তবে
শুধু সকলেই স্থান পরিবর্তন করে তা না। অনেকেরই আগে যে কোনও কারণে ভুলবশত
ঠিকানা ভুল করে থাকে।এটাকে আমরা সংশোধন বলে থাকি। সংশোধন বলতে আপনার ঠিকানার
জায়গাই যে কোন বানান ভূল হয়ে থাকে।এই কারণে আপনি খুব সহজেই আপনার নিজের এলাকার
নির্বাচন কমিশনে ফর্ম জমা দিয়ে নিজ ঠিকানা সংশোধন করতে পারেন। আশা করি আপনি এ
ভাবে কাজ করলে উপকৃত হবেন।
জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন কী কী লাগে
জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের জন্য কী কী কাগজপত্র লাগে সেটা নির্ভর করবে আপনি কী
ধরনের সংশোধন করতে চাচ্ছেন তার উপর। আপনি যেমনি কাজ করতে যাবেন ঠিক সেই ধরনের
কাগজপত্র আপনাকে প্রমাণ স্বরূপ জমা দিতে হবে। এখন ধরুন আপনার এনআইডির সংশোধন
প্রয়োজন। তাহলে আপনাকে প্রথমত এসএসসি শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট বা
মার্কশীট , অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সনদ তারপরে যাবেন ড্রাইভিং লাইসেন্সের কপি
পাসপোর্ট যদি থাকে তাহলে তার কপি প্রমাণ স্বরূপ জমা দিতে হবে।
তাহলে আপনার NID কার্ড সংশোধন করা যাবে। যদি সব কাগজ পত্র না থাকে তবে
আপনাকে কিছু ক্ষেত্রে এভিডেভিট হলফনামা, নাগরিক সনদপত্র,ওয়ারিশ সনদ জমা
দিতে হবে।তাহলে আপনি সংশোধনের আবেদন করতে পারবেন। অনেকের বিয়ের আগে ভোটার হওয়ার
জন্য ভোটার আইডি কার্ডে স্বামীর নাম উল্লেখ থাকে না। এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই
আপনার বিয়ের কাবিননামা সনদপত্র জমা দিতে হবে। তাহলে আপনি খুব সহজেই এই
কাজটি করতে পারবেন। আবার মনে করেন আপনার ডিভোর্স হয়েছে।
সে ক্ষেত্রে ভোটার কার্ড থেকে স্বামীর নাম মুছে ফেলতে চাচ্ছেন। সে ক্ষেত্রে
আপনাকে তালাকপ্রাপ্ত কাগজপত্র জমা দিতে হবে। এমনিভাবে অনেকেরই ভোটার আইডি
কার্ডে রক্তের গ্রুপ থাকে না বা পরিবর্তন করতে চান। রক্তের গ্রুপ সংযোজন
করার জন্য আপনাকে ক্লিনিক থেকে ব্লাড টেষ্টের রিপোর্ট কাগজপত্র জমা দিতে
হবে। যাতে করে আপনার রক্ত গ্রুপের প্রমাণ দেখতে পারেন। তা ছাড়া ঠিকানা পরিবর্তন
করতে গেলেও আপনাকে বিদ্যুৎ বিলের কাগজ বা ইউটিলিটি কাগজ জমা দিয়ে আপনার ভোটার
আইডিকার্ড সংশোধন করতে পারবেন। আশা করি এসব কাজের ক্ষেত্রে আপনি অনেক
উপকৃত হবেন।
ভোটার আইডিকার্ড সংশোধনে সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর
ভোটার কার্ড সংশোধনের সম্পর্কে অনেকেরই অনেক প্রশ্ন থাকে। এখন কিছু প্রশ্ন নিয়ে
কথা বলব যেখানে আপনাদের মনে সবসময় ঘোরপাক খাই। আশা করি এ সব প্রশ্ন থেকে আপনারা
অনেক উপকৃত হবেন।
ভোটার আইডি কার্ড কতো বার করা যায়
ভোটার আইডি কার্ড কতো বার সংশোধন করা যাবে তা নির্দিষ্ট নয়। তবে আপনি
যতবারি সংশোধন করেন না কেনো এক তথ্য একবারি পরিবর্তন করতে পারবেন।এজন্য আপনাকে
সরকারি ফি পরিশোধ করতে হবে।প্রথম বার ফি ২৩০ টাকা নিলেও পরের বার থেকে এত রেট
বাড়তে থাকবে।
বাবা মায়ের নাম ভূল থাকলে কী কাগজ লাগে
আপনার এনআইডি কার্ডে বাবা মায়ের নাম যদি ভুল থাকে। সে ক্ষেত্রে আপনাকে সংশোধনের
জন্য আপনার প্রমাণস্বরূপ হিসাবে আপনার বাবা অথবা মায়ের এনাইডি কার্ডের ফটো কপি
লাগবে। আপনার ভাই বা বোনের এন আইডি এন আইডি কার্ডের কপি লাগবে এবং আপনার এস এস
সি পরীক্ষার সার্টিফিকেট এর ফোটকপি জমা দিতে হবে। তাহলে আপনার বাবা মায়ের নামের
ভুল সংশোধন করা যাবে।
মোবাইল নাম্বার পরিবর্তন করবো কিভাবে
মোবাইল নাম্বার পরিবর্তন করার জন্য প্রথমে আপনাকে এন আইডি ওয়েবসাইটে প্রবেশ
করতে হবে। এনআইডির ওয়েবসাইটে রেজিষ্ট্রেশন করার সময় আপনাকে যে নম্বর থেকে
ওটিপি পাঠানো হয় সেই ধাপে গিয়ে আপনি মোবাইল নাম্বারটি পরিবর্তন করে নেবেন। এতে
করে আপনার মোবাইল নাম্বার পরিবর্তন করা সম্ভব হবে।
আইডি কার্ডে বয়স বাড়াবেন কিভাবে
ভোটার আইডি কার্ডে বয়স বাড়ানো বা কমানোর কোন অপশন নেই।আপনি যদি বয়স কম বা বেশী
করতে চান তাহলে প্রমান সরূপ কাগজ জমা দিতে হবে।তাহলে বাড়ানো সম্ভব হবে।
ভোটার আইডি কার্ড হারিয়ে গেলে উদ্ধার করা অনেক ভোগান্তির ব্যাপার। আপনার ভোটার
আইডি কার্ডটি যে কোনও কারণে হারিয়ে গিয়েছে কিন্তু আপনি সেটা প্রয়োজনে ব্যবহার
করতে পারছেন না। আপনি এই ভোটার আইডি কার্ড ছাড়া কোনও কাজই করতে পারবেন না।
যেখানেই যান না কেন ভোটার আইডি কার্ড আপনার লাগবে। আপনি চিন্তায় পরে গেছেন এখন
আপনি কী করবেন,কী ভাবে এই কার্ড উদ্ধার করবেন।তাই যদি কারও ভোটার আইডি কার্ড
হারিয়ে যায়। তাহলে আপনাকে অবশ্যই সেটা ফিরে পাওয়ার জন্য বিশেষ কিছু পদ্ধতি
অবলম্বন করতে হবে।
আমরা এখন এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পারব কী ভাবে ভোটার কার্ড হারিয়ে গেলে
উদ্ধার করা যাবে। প্রথমে আপনাকে থানায় গিয়ে একটি জিডি করতে হবে, যে আপনার ভোটার
আইডি কার্ড হারিয়ে গেছে। এখন যদি আপনার ভোটার আইডি
কার্ড নাম্বার বা কোনো ফটোকপি থাকে তাহলে আপনার জন্য অনেক কাজ করতে সহজ
হবে।এখন সেই জিডি করা কাগজটি আপনার নিকটস্থ উপজেলা নির্বাচন অফিসে জমা
দিয়ে আবেদন করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে কোনও রকমের ফি পরিশোধ করতে হবে না।
শেষ কথাঃভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একজন মানুষের ভোটার আইডি
কার্ড যে কি প্রয়োজন এবং দরকারি জিনিস সেটা যার কঠিন সময়ে দরকার হয় সে জানে।
এই অবস্থা ভোটার আইডি কার্ড ছাড়া আপনি কোনও কাজ সঠিকভাবে
করতে পারবেন না। আপনি যদি আপনার সন্তানকে স্কুলে ভর্তি করতে চান তাও আপনারা
সেখানে ভোটার আইডি কার্ড জমা দিতে হবে।যদি আপনার নামে কোনও ভূল থাকে
তোবে আপনার ছেলে মেয়ের জন্ম সনদে ভূল আসবে।আবার যদি কোনও জমি ক্রয় করতে
যান,সেখানেও এই ভোটার আইডি কার্ড লাগবে।
আপনি যদি পাসপোর্ট বানাতে যান তাহলেওভোটার আইডি কার্ড লাগবে।এক কথায়
প্রতিটি সেক্টোরে ভোটার আইডি কার্ড লাগবে।তাই এটি আমাদের জন্য অনেক দামি
ব্যাপার।আমি এতোক্ষন ধরে এই আর্টিকেলে উপরে অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি।আশা করি আপনি আপনার প্রয়োজনে
অনেক কাজে দিবে।আপনি যদি অল্প কিছু হলেও উপকার পেয়ে থাকে তাহলে,আপনার নিকট
বন্ধুদের কাছে অবশ্যই শেয়ার করবেন।যাতে করে তারাও প্রয়োজনে সুবিধা পেয়ে
থাকে।এতোক্ষন ধরে এই আর্টিকেলে টি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
শেষ কথা বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url