গরু মোটাতাজাকরনের সঠিক পদ্ধতি জেনে নিন

  

গরু মোটাতাজাকরনের সঠিক পদ্ধতি জেনে নিন আজকের আর্টিকেল সম্পর্কে জানতে হবে। আমাদের দেশে বিশেষ করে গ্রাম অঞ্চলে প্রায় প্রতিটি পরিবারে একজন এর আয়ের উপরে সংসার পরিচালনা হয়ে থাকে। এতে করে অল্প আয়ের মানুষেরা বিশেষ করে গরিব মানুষ সংসার চালাতে হিমশিম খাই। এই জন্য গ্রামে পুরুষের পাশাপাশি মহিলারা

গরু মোটাতাজাকরন

এই গরুর খামার করে থাকেন। গ্রামের অধিকাংশ পরিবারে মহিলারায় গরু লালন পালন করে থাকে। এই সংসারে বাড়তি আয়ের জন্য তারা কিছু করতে চাই। কিন্তু তারা সুযোগ পাই না বা বুঝে উঠে না কিভাবে গরু লালন পালন করবে। নতুন অবস্থাই সেটা আরো কঠিন হয়ে পড়ে। আজ আমরা দেশী গরু মোটাতাজাকরনে আলোচনা করব।

পেজ সূচিপত্রঃগরু মোটাতাজাকরনের সঠিক পদ্ধতি জেনে নিন

গরু মোটাতাজাকরনের সঠিক পদ্ধতি জেনে নিন

গরু মোটাতাজাকরনের সঠিক পদ্ধতি জেনে নিন। আমাদের দেশে বিশেষ করে গ্রামের দিকে মোটামুটি সবাই গরু পালন করে থাকে। অনেকেই আবার বিদেশী গরুর প্রতি বেশী টান থাকে। কিন্তু বিদেশী জার্সি গরু পালন করতে গিয়ে হিমশিম খেয়ে যায়। এর মূল কারন হল খরচের দিক তাকিয়ে এগুতে পারেনা। একটি গরু পালনে মোটাতাজা করতে হলে বিভিন্ন বিষয়ের দিকে নজর দিতে হবে। বিদেশী গরু লালন পালনে যেমন অনেক বিষয় নিয়ে ভাবতে হয়। দেশী গরুর জন্য তেমন অতটা ভাবা লাগে না।

কারন একটি দেশী গরু পালন অনেক সহজ ব্যাপার। দেশী গরু পালনে আমাদের দেশের মেয়েরাই এটি দেখভাল করে থাকে। এতে করে বাড়ির পুরুষ মানুষদের খাটা খাটনি অনেক টায় কমে যায়। আপনি যদি নতুন খামারি হন,তাহলেও গরু পালনে কোন চিন্তা করার প্রয়োজন নেয় বলে আমি মনে করি। একটি মোটাতাজা গরুর জন্য অনেক পুষ্টি গুন খাবার লাগবে। খাবারের মধ্যে বিভিন্ন শক্তি ও প্রোটিন যুক্ত খাবার দিতে হয়। আমি গরু মোটাতাজা করার ব্যাপারে নিচে অনেক আলোচনা করেছি। এগুলো থেকে আপনি একটা ধারনা পাবেন বলে আমি মনে করি।

গরু পালনের জন্য সঠিক জায়গা নির্বাচন

গরু পালনের জন্য জায়গা নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।কারন জায়গা যদি সঠিক স্থানে না হয়,তাহলে খামার ব্যবস্থাপনা ভালো হয় না। যেহেতু আপনি খামার বাণিজ্যিকভাবে করতে চাচ্ছেন,সে জন্য আপনার খামারটি বাড়ির পাশে হলে সবচেয়ে ভালো হয়৷ যাতে করে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও আপনারা অনুপস্থিতিতে এগুলো দেখাশোনা করতে পারে সঠিকভাবে পরিচর্যা করতে পারে। গরুর খামারের জন্য ঘরটি অবশ্যই দৌচালা হতে হবে এবং যাতে করে কোনো রকমে গরমের আভাস না আসে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।

গাছপালার মধ্যে হলে সব চাইতে ভালো হয়। এবং খাবারটি অবশ্যই উঁচু স্থানে করতে হবে। যাতে করে কোনো রকমে বন্যা বা অন্য কোন যাবতীয় প্রাকৃতিক দুর্যোগে কোনও ক্ষতি না হয়। অনেক সময় হতে পারে আপনি ভুলক্রমে নিচু জায়গায় খামারবাড়ি জায়গা নির্বাচন করেছেন। এই সময় আপনি লাভের চাইতে লোকসানের মধ্যে পড়তে পারেন। আবার জায়গা কতটুকু হবে সেটা আপনার নির্ভর করবে গরু সংখ্যার উপর।গরুর সংখ্যা যেমন হবে জায়গা পরিমাণ ঠিক তোত গুণ বাড়াতে হবে।

গরু পালনে সঠিক খামার ব্যবস্থাপনা

গরু পালনের জন্য জায়গা নির্বাচন করার পর আপনার সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে খামার ব্যবস্থাপনা সঠিক ভাবে পরিচালনা করা। খামার অবশ্যই উঁচু স্থানে হতে হবে। গরুর যেখানে থাকবে সেটা অবশ্যই যাতে শুকনো হয় কোন স্যাঁতসেঁতে যাতে না হয়। কারণ স্যাঁতসেঁতে হলে অনেক সময় রোগ ব্যাধি বাসা বাধতে পারে। গরুর ঘরের আশেপাশে খোলা রাখতে হবে যাতে আলো বাতাস পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রবেশ করতে পারে। এতে করে ঘর দূষণমুক্ত হবে।গরুর ঘরে যে মলমূত্র গুলো থাকবে সেগুলো যাতে খুব সহজেই পরিষ্কার করা যায় সে জন্য গরুর মেঝে হালকা ঢালু করতে হবে।যাতে খুব সহজে ঘর শুকনো থাকে।


সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে এবং মলমূত্র গুলো রাখার জন্য কিছু দূরে গর্ত করে মজুত রাখতে হবে যাতে করে ময়লা তে কোন রোগব্যাধি না হয়।  গরুর ঘরে অবশ্যই জীবাণুনাশক পাউডার স্প্রে করতে হবে। যাতে করে ঘরগুলো জীবানুমুক্ত থাকে। শীতের দিনে গরুকে যাতে ঠান্ডা না লাগে সে জন্য গরুর গায়ে চটের বস্তা এবং মেঝেতে খড় বিছিয়ে দিতে হবে যাতে করে গরু আরামে ঘুমাতে পারে। আবার বাছুরগুলোকে যাতে খোলা জায়গায় থাকতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে বাছুর গুলোকে আলাদা জায়গাই রাখতে হবে। বাণিজ্যিক খামারের জন্য এই নিয়মগুলো অবশ্যই আপনাকে মেনে চলতে হবে।

দেশী গরু ক্রয় করার সঠিক উপায় ও পরবর্তী পদক্ষেপ

খামার ব্যবস্থাপনার পর আপনাকে এখন গোয়ালে গরু নিয়ে আসতে হবে। এখন গরু ক্রয় করার জন্য অবশ্যই আপনাকে বাজার যেতে হবে। তার আগে আপনাকে বাজার তদারকি করতে হবে। বাজারে গরুর দাম কেমন সরাসরি দেখতে হবে। এরপর আপনাকে বাছাই করতে হবে আপনি কোন ধরনের কোন সাইজের গরু ক্রয় করবেন তা সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যদি আপনি কোরবানির ঈদ টার্গেট করেন,তাহলে সেই ভাবে বেছে নিতে হবে।যাতে আপনি বাণিজ্যিকভাবে সফল তা অর্জন করতে পারে। এবং গুরু ক্রয় করার পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের চেক করে নেবেন যাতে করে গরুটি রোগাক্রান্ত না হয়।

এখন আমি ধরে নিলাম আপনি নতুন খামারি। তাহলে গরু খামারে তোলার আগে ঘরটিকে জীবানুনাশক স্প্রে দিয়ে ঘরটিকে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। এরপর আপনাকে গরুগুলোকে গোসল করাতে হবে। অবশ্যই তা সাবান দিয়ে গোসল করাবেন এবং ভালো করে পরিষ্কার করবেন যাতে গায়ে ময়লা না থাকে। পটাশের পানি দিয়ে স্প্রে করবেন,যাতে গরু একদম জীবাণুমুক্ত থাকে। পানির সাথে স্যালাইন মিশিয়ে গরুকে খাওয়াবেন, যাতে করে গরু ক্লান্ত দূর হয়। এরপরে খড় ও ঘাস খেতে দিবেন। প্রথম প্রথম কয়েকদিন দানাদার খাবারগুলো কম দেবেন।পরে আস্তে আস্তে বাড়াবেন।এভাবে নতুন পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারবে।

গরুর পুষ্টি ও খাদ্য ব্যবস্থাপনা

আমরা এখন এই আর্টিকেলের পুষ্টি ও খাদ্য ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে আলোচনা করব। আপনার খামারে গরু  জন্য আপনাকে পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে। পুষ্টিকর খাবার দিলে একটি গরুর জন্য দৈহিকভাবে বেড়ে উঠবে। আমাদেরকে মনে রাখতে হবে যে আমরা যখন গরুর পুষ্টিকর খাবার দেবো পুষ্টিকর খাবার মানে আমাদের বুঝতে হবে কোন খাবার গুলো পুষ্টিকর খাবার বলা হচ্ছে। শুধুমাত্র কিছু ঘাস দিলে সেটা আমার পুষ্টিকর খাবার বলতে পারি না। এজন্য আমাদেরকে অবশ্যই নিয়ম মেনে পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে।আপনি আঁশজাতীয় খাবার প্রায় দিয়ে থাকেন যেমনঃ খড়,কাঁচা ঘাস,গাছের পাতা খেসারি ইত্যাদি।

তারপর যেমন দানাদার খাবার দিতে পারেন দানাদার খাবার কোনগুলো সেটা হচ্ছে গম ভাঙা, ভুট্টা ভাঙ্গা,খৈল,ভূসি ইত্যাদি খাবারগুলো আমরা দানাদার খাবার বলছি।তাছাড়া আপনাকে খাবারের সাথে পরিমাণ মত লবণ দিতে হবে। ম্যাগনেসিয়াম,ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার দিতে হবে।যাতে করে গরু পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার পেয়ে থাকে। এখন ধরুন আপনার একটি গাভী গরু আছে। সেটা দুধ যাতে বেশি করে উৎপাদন করা যায়,সে ব্যাপারে আপনাকে নজর দিতে হবে।তাকে সঠিক ভাবে আরামদায়ক ব্যবস্থা রাখতে হবে এবং গরমের দিন আপনাকে ফ্যানের ব্যবস্থা করতে হবে। মাথার ওপর ফ্যান দিতে হবে। এ ভাবে আমরা গরুর জন্য দৈনন্দিন ভাবে পুষ্টিকর খাবারের ব্যবস্থা করতে পারি।
গরু মোটাতাজাকরন

পশু কে নিয়মিত ভাবে চিকিৎসা দেয়া

নিয়মিত ভাবে চিকিৎসা দিতে হবে এটা আমাদের বাধ্যতামূলক। পশুকে বিভিন্ন ধরনের রোগ হতে পারে। বিশেষ করে দেখবেন বর্ষাকালে যদি আপনার খামার ঘর মাটির হয় বিশেষ করে মেঝে মাটির হলে খোঁড়া রোগ দেখা দিতে পারে। এই রোগ গুলো আমাদের দমন করতে হবে। এরপর ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী প্রতিটি গরুকে কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়াতে হবে।যাতে করে সকল গরু গুলোকে কৃমিমুক্ত করা যায়।এজন্য আপনি প্রতিটি গরুর জন্য এন্ডেক্স বা এন্টিওয়ারম ট্যাবলেট খাওয়াতে পারেন।

তা ছাড়া আপনি গরুকে বিভিন্ন রোগের টিকা দিতে পারেন। বিশেষ করে তরকা,বাদলা,খুড়া ইত্যাদি এসব রোগের টিকা দিলে আপনার কোনও বিষয়ে চিন্তা থাকবে না। বরং গরু সুস্থ ও সবল থাকে। এই ব্যাপারে আপনি নিকটস্থ সরকারি পশু হাসপাতালে যোগাযোগ করতে পারেন। তার পরে আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন খাওয়াতে হবে। যাতে গরু সুস্থ থাকে। কারণ নিয়মিতভাবে চেক আপ না করালে সঠিকভাবে গরুর কাছ থেকে কোনও ফলাফল পাওয়া যায় না।

গরুর খামারের সুনাম বৃদ্ধি করা

গরুর খামারের সুনাম বৃদ্ধি করা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনি যদি খামারে সুনাম এর সাথে ব্যবসা করতে পারেন দেখবেন আপনাকে গরু বিক্রি করা নিয়ে কোনও মাথাব্যথা করতে হয় না। ধরুন উদাহরণ স্বরূপ আপনাকে যদি বলি। বাংলাদেশে  বিভিন্ন জায়গাই কিছু কিছু খামার আছে যেগুলো গরু বিক্রি করার জন্য কখন মাথা ঘামাতে হয় না।যে খামার গুলো গরু বিক্রি করে তারা জানে যে তাদের সুনামের জন্য তাঁরা কখন কাস্টমার কাছে ভিড় জমাবে না। বরং কাস্টমার খামারির কাছে এসে ভিড় জমাই।

বছরের একটা নির্দিষ্ট সময় বিশেষ করে ঈদুল আযহা বা কোরবানির ঈদে ক্রেতারা বড় বড় খামারে এসে আগে থেকেই গরু কিনে নেই।এর বিশেষ কারন হচ্ছে সুনাম ধরে রাখা। তাই আপনার আধিপত্য বজায় রাখতে হবে। আপনার খামারকে সবসময় ফিটফাট করে রাখতে হবে। যাতে করে কাস্টমার এসেই আপনার গুরুর প্রতি তাদের মনোযোগ আকর্ষণ করে দিতে পারে। আপনার কথাবার্তা আচার ব্যবহার সবকিছুই তাদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা প্রকাশ পায়। সে ব্যপারে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে। এতে করে আপনার গরু খামারের সমৃদ্ধির মাধ্যমে আপনার ব্যবসা সফল হবে বলে আমি মনে করি।

গরুর বাজার সম্পর্কে ভালোভাবে জ্ঞান থাকা

আপনি খামারে গরু আনলেন ,আপনি ঠিকভাবে খাওয়ালেন, চিকিৎসা করলেন সব কিছু করলেন। কিন্তু এখন সব শেষ সম্পর্ক হচ্ছে আপনাকে বাজারে গতিবীধি সম্পর্কে জানতে হবে। এখন আপনি কিভাবে গরুটি বিক্রি করবেন সে সম্পর্কে আপনার সম্পূর্ণ ভাবে জ্ঞান রাখতে হবে। বাজার সম্পর্কে ভালোভাবে জ্ঞান না থাকে তাহলে আপনি বেপারীর সাথে দরদাম করে জিততে পারবেন না।তাই আপনাকে আগে থেকেই বাজার সম্পর্কে ধারনা নিতে হবে।বাজার ধারনা থাকা ভালো।

সপ্তাহে বাজার দর কেমন ছিল,এই সপ্তাহে বাজার কেমন,আগামী সপ্তাহে কেমন হতে পারে এরকম ধারনা থাকতে হবে। যাতে আপনি হুট করেই বলে দিতে পারেন আজকের বাজার কেমন। সব বিষয়গুলো আপনাকে নজরদারির মধ্যে রাখতে হবে। তাহলে আপনি যে কোনো সময় আপনি যদি প্রয়োজনের গরু বিক্রি করতে চান আপনি গরু বিক্রি করে দিতে পারবেন। আপনাকে গরু বেপারিরা ঠগাতে পারবে না। আপনি গরু ক্রয় করেন বা বিক্রয় করেন আপনাকে উভয়ের জন্যই বাজার তদন্ত করতে হবে। এতে করে আপনি সফলতা অর্জন করতে পারবেন।

গরু পালনে আর্থিক দিক বিবেচনা করা

গরু পালনে অবশ্যই আপনাকে আপনার অর্থের দিকে দেখতে হবে। আমি বলছিনা যে গরু পালনে লাখ লাখ টাকা লাগবে। কিন্তু একটি খামার বানাতে আর  যে পরিমান গরু লাগবে প্রথম অবস্থাই তাতে তো কিছু পরিমান টাকা লাগবে। আপনি যখন খামার শুরু করবেন প্রথমেই তো আর লাভ আসবে না। এজন্য আপনাকে সময় নিতে হবে। আমি এজন্য বলতে চাচ্ছি যে, দেখা গেলো আপনি খামার শুরু করেছেন কিন্তু অর্থের অভাবে আর শেষ করতে পারছেন না। তখন এটা আপনার জন্য অনেক হতাশা জনক।প্রথমেই যদি আপনি এরকম ধাক্কা খান,পরবর্তীতে আর উঠে দাড়াতে পারবেন না। এজন্য আমি এটা নিয়ে আলোচনা করেছি।

আপনাকে অর্থের ব্যাপারে বিবেচ্য বিষয় নিয়ে পরিকল্পনা করতে হবে। তানা হলে আপনি খামার বাস্তবায়ন করতে পারবেন না।
  • প্রথমে ভাবতে হবে একটি গরু মোটাতাজা করতে কতো সময় লাগবে।আর বাজেট কেমন হবে।
  • তারপর প্রতিটি গরুর জন্য শেড বানাতে কতো ব্যয় হবে সেটা দেখতে হবে।
  • তারপর আপনি কি পরিমান গরু ক্রয় করবেন,এটার জন্য আর্থিক পরিকল্পনা করতে হবে।
  • আপনি যতগুলো গরু ক্রয় করবেন,তার উপর নির্ভর করে খাবার ব্যবস্থা করা।
  • সেই গরু গুলোর জন্য নিয়মিত চিকিৎসা সেবা ব্যবস্থা করা।
  • আর বিভিন্ন খরচ যেমনঃবিদ্যুতের খরচ,পানির খরচ,যাতায়াত ইত্যাদি পরিকল্পনা করতে হবে।
  • তাছাড়া আপনি যদি নিজে কাজ না করে শ্রমিক নিয়োগ দেন তাহলে তার পারিশ্রমিক প্রদান করা।
উপরের এই সব বিবেচনা করে আপনাকে আর্থিক পরিকল্পনা করতে হবে। এর বিপরিত হলে আপনি লোকসানের মুখ দেখবেন।

গরু মোটাতাজাকরন

শেষ কথাঃগরু মোটাতাজাকরনের সঠিক পদ্ধতি জেনে নিন

গরু মোটাতাজাকরনের সঠিক পদ্ধতি জেনে নিন,আমরা আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পারলাম। আমি যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি একজন নতুন খামারি হিসাবে বা যাঁরা পুরনো খামারি তাঁরাও ধারণা নিতে পারবেন যে একটা খামার পরিচালনা করতে গেলে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত কীভাবে আপনাকে তাঁর নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সে সম্পর্কে কিছু টা হলেও ধারণা পেয়েছেন। আমি মনে করব  গরুর খামার একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান হলেও এর ক্ষতি ও আছে।

এই ক্ষতি এড়িয়ে চলার  মাধ্যমে আপনি লাভের মুখ দেখতে পাবেন। যদি আপনি এই আর্টিকেলটি পরে কোনও রকমের কোনও উপকৃত হোন। আমি চাই আপনার নিকট বন্ধুদেরকেও এই বিষয়টা নিয়ে শেয়ার করুন যাতে করে তারাও এর থেকে কিছু ধারণা পেয়ে থাকে। সব সময় ডাক্তারের পরামর্শ মেনে, বাজার তদারকি আর   অর্থের দিক তাকিয়ে আপনাকে খামার ব্যবস্থাপনা পরিচালনা করতে হবে। তাতে আপনি বাণিজ্যিকভাবে গরু মোটাতাজা করে সফলতা অর্জন করতে পারবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

শেষ কথা বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url