ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে জীবনযাত্রার পরিবর্তন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে জীবনযাত্রার পরিবর্তন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।ডায়াবেটিস
এখন সকল বয়সের মানুষের জন্য বিপদজনক। এখন শুধু বয়স্ক মানুষেরা নয়,বাচ্চারাও এখন
বেশি ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।যার কারনে স্ট্রোক এর মত জটিল রোগে আক্রান্ত
হচ্ছে।এই প্রকট দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।ডায়াবেটিস রোগ সামনের সময় গুলোতে আরো জটিল
অবস্থায় পরিনত হবে।
ডায়াবেটিস একেবারে নির্মূল করতে না পারলেও,এটা নিয়ন্ত্রন করা যায়।জীবন যাত্রার এই
রোগে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন,চেকাপ করা ছাড়াও আরো অনেক ভাবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে আনা
সম্ভব।ডায়াবেটিসের কিছু লক্ষন আছে ,যা আমি আজ কিছু টিপস নিয়ে আলোচনা করবো।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনেজীবনযাত্রার পরিবর্তন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ
- কোনটা খাবেন আর কোনটা খাবেন না
- ডায়াবেটিস কমানোর ঘরোয়া উপায়
- ডায়াবেটিস কতো হলে বুঝবেন নরমাল
- ডায়াবেটিস চিরতরে নির্মূল করা কি যায়
- ডায়াবেটিস কত হলে মানুষ মারা যায়
- ডায়াবেটিস রোগের লক্ষণ সমূহ
- ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার সমূহ
- আপনার শরীরে ডায়াবেটিস হয়েছে কিভাবে বুজবেন
- শেষ কথা:ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে জীবনযাত্রার পরিবর্তন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রন জীবনযাত্রার পরিবর্তন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে জীবনযাত্রার পরিবর্তন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।অন্য সব
রোগের চেয়ে ডায়াবেটিস রোগটি জটিল। আমাদের মানবদেহে বিভিন্ন ধরনের রোগ বাসা বাঁধে।
যদিও সব রোগের চিকিৎসা হয় এবং তা নির্মূল করা যায়। কিন্তু ডায়াবেটিস রোগ এখনও
নির্মূল করা যায় না। নিয়ন্ত্রণ আনা যায় কিছু আমূল পরিবর্তনের মাধ্যমে। আজ আমি
আপনাদের বলতে চাই। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য যে বিষয়গুলো বলবো তা হলো।
ডায়াবেটিস থেকে আপনি নিয়ন্ত্রণ পাবেন বা একটু আরাম পাবেন। যেমন ধরুন আপনি আগে কয়
ঘণ্টা ঘুমোতেন। কীভাবে ঘুমাতেন যদি আপনি অলস হয়ে থাকেন। তবে এটি নিয়ন্ত্রণ করা
খুবই দুষ্প্রাপ্য।
তবে আপনাকে কম ঘুমাতে হবে।কম বলতে রাতের বেলাই ৭-৮ ঘণ্টা নিয়মিত ভাবে ঘুমাতে হবে।
তার পর ধরুন আপনি যদি বাড়িতে কাজ কম করে থাকেন তাহলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে আসবে
না। এর জন্য আপনাকে কিছু কাজ করতে হবে। কাজ করতে না পারেন তাহলে আপনাকে সার্বিক
ভাবে হাঁটাহাঁটি করতে হবে। যদি আমরা ব্যায়াম হিসেবে দিনে কিছু অংশ আপনি নিয়মিত
প্রতিদিন হাঁটাহাঁটি করেন তাহলে আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ অনেকটাই চলে আসবে।এক
কথাই আপনাকে শুয়ে বসে না থেকে সারাদিনে কিছু না কিছু করে যেতে হবে।তাহলে আপনি এই
রোগ থেকে আরাম পাবেন।
কোনটা খাবেন আর কোনটা খাবেন না
ডায়াবেটিস রোগীর জন্য খাবার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনার আগে ভাবতে হবে আপনি
কোন খাবার খাবেন আর কী খাবেন না।চলুন আমরা জেনে নিই কোন খাবারটি আগে খাবো। ধরুন
আপনি প্রতিদিন যে খাবারগুলো খান সেই খাবার সাথে আপনাকে সুষম খাবার খেতে হবে। শুধু
খাবার বলতে শাকসবজি,ভাত,মাছ বোঝাচ্ছি না। এর সাথে ফল,মাংস নিয়মিত ভাবে খেতে
হবে।সুষম খাবার বলতে আমরা যা বুঝি।এই খাবারগুলো নিয়মিত ভাবে খাবেন।
দেখবেন আপনার শরীরে হরমোনের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। যা আপনাকে অনেকটাই ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে কাজে লাগবে।এবার চলুন জেনে নিই কোন খাবারগুলো এড়িয়ে চলবেন। আমরা অনেকেই হোটেল বা রেস্টূরেন্ট ফাষ্টফুড খাবার খায়। যেগুলো আমাদের জন্য অনেকটাই বিপজ্জনক খাবার। এই চর্বি যুক্ত,বেশী তেল দিয়ে ভাজা খাবার আমাদের পরিহার করতে হবে। তাছাড়া অনেক সময় বাসি পচা খাবার আমাদের দিয়ে থাকে।এই সব খেয়ে আমাদের অসুখ হয়ে থাকে।এগুলো আমাদের এড়িয়ে যেতে হবে।তাতে আমাদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আসবে।
ডায়াবেটিস কতো হলে বুঝবেন নরমাল
একজন সুস্থ সবল মানুষের শরীরে সুগারের পরিমাণ কত আছে তার উপর নির্ভর করে
ডায়াবেটিস। একজন মানুষের দেহে সুগার মাত্রা কতটুকু আছে তা মাপের উপর নির্ভর
করবে।আমরা অনেক সময় বাড়িতে বা ফার্মেসিতে গ্লূকোমিটারের মাধ্যমে ডায়বেটিস পরিমাপ
করে থাকি। ফার্মেসি বা বাড়িতে আঙুলের ডগায় থাকা রক্তনালী থেকে ডায়াবেটিস পরিমাপ
করা হয়। আবার হাসপাতাল গুলোতে শিরা থেকে রক্ত নিয়ে ব্লাড সুগার পরিমাপ করা হই।আমরা যে ভাবে পরীক্ষা করি না কেনো ফলাফল যেটা আসবে তা থেকে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে।
এখন আপনাদের প্রশ্ন হচ্ছে কতটুকু হলে বুঝবেন যে আপনার ডায়াবেটিস হয়েছে কি হয়নি।
সাধারণত গ্লূকোমিটারের খালি পেটে যদি আপনি সুগার মাপেন তাহলে ৪ থেকে ৬ এর মধ্যে
হলে সেটা আমরা স্বাভাবিক বলতে পারি। তবে যদি আপনি খাবার খান,মানে ভরা পেটে তাহলে
৮এর নীচে থাকেতে হবে। আমরা সেটাকে স্বাভাবিক বলে ধরে নিতে পারি।আর যদি ১১ পয়েন্ট
এর উপরে হয়ে যায় তাহলে সেটাকে আমরা ডায়াবেটিস আছে বলে ধরতে পারি।
ডায়াবেটিস কমানোর ঘরোয়া উপায়
ডায়াবেটিস কমানোর জন্য ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি আছে। তার মধ্যে আমাদের প্রথমত নিজের
শরীরের যত্ন। যদি নিজে সুস্থ না থাকতে চান তাহলে কোন রুগীকে ভালো করা সম্ভব নয়।
ডায়াবেটিস রোগটা হচ্ছে। নিয়ন্ত্রণ। এটাকে আমাদের কিছু নিয়ম কিছু যত্নের মাধ্যমে
নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। যেমন ধরেন খাবারের ক্ষেত্রে। আপনি যত খাবার খেয়েছেন যেমন
হয়তো কখন রেস্টূরেন্টে বা হোটেলে যাওয়ার পর তেলযুক্ত চর্বিযুক্ত খাবার খেয়ে
থাকেন। কিন্তু আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে এগুলো মানসম্মত নই।তাই আপনাকে অবশ্যই
এগুলো মেনে খাবার খেতে হবে।আপনাকে শাকসবজি ও তাজা ফ্রেস খাবার এগুলো খেতে হবে।
আবার মনে করুন অনেক সময় অ্যালকোহল যুক্ত পানীয় পান করছেন।যেগুলো আমাদের শরীরের
জন্য হুমকি সরুপ।আবার চা খাচ্ছেন তার সঙ্গে অনেক চিনি খাচ্ছেন। যেটা আমাদের জন্য
একেবারেই উচিত নয়। অবশ্যই আমাদের গ্রিন টি পান করতে হবে। এটা আমাদের শরীরের জন্য
অনেক উপকারি।আমাদের অনেক কিছু আছে যেগুলো মেনে নিয়ে এড়িয়ে যেতে হবে। এছাড়া আপনি
দিনের যে কোনও সময় হাঁটাহাঁটির মাধ্যমে করতে পারেনে। হাঁটাহাটি বা ব্যয়াম করার
মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রন করা যায়।
আরো পড়ুনঃপুকুরে মাছ চাষ করার পদ্ধতি
ডায়াবেটিস চিরতরে নির্মূল করা কি যায়
ডায়াবেটিস রোগ চিরতরে মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয়। তবে হ্যাঁ কিছু নিয়মতান্ত্রিক ভাবে
নিয়ম ফলো করলে অবশ্য সেটা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। একজন ডায়াবেটিস রোগিকে কিছু
খাবারের নিয়ম এবং ব্যায়াম বা হাঁটাহাঁটি করলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
ডায়াবেটিস অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। তখন আর ডায়াবেটিসের জন্য ওষুধ বা ইন্সুলিন
নেয়া প্রয়োজন হয় না। তবে এ কথা সত্য যে অনেকে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে
না।এটার প্রধান কারন হলো নিজের শরীরের নিয়ন্ত্রণ না আনা।
আমরা বেশীর ভাগ সময় অতিরিক্ত কিছু করে ফেলি।নিজের নিয়ন্ত্রনে থেকে আমাদের খাওয়া দাওয়া করতে হবে,শরীরের ঘাম ঝরাতে হবে।আর আমরা এটার উল্টোটা করি।যার প্রধান কারণ হচ্ছে খাওয়া দাওয়া, চলাফেরা, শরীরচর্চা শুরু করে অনেক কিছু। যা
রক্তে সুগারের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। যার কারনে ডায়াবেটিস রোগ দেখা দেই।আবার অনেকের
জন্মগত রোগ থাকে।যার কারনে তার আর ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রন আসে না।তবে জন্মগত ভাবে
রোগ হলে খুবিই মুস্কিল হয়ে যাই এটাকে নিয়ন্ত্রনে আনা।
ডায়াবেটিস কতো হলে মানুষ মারা যায়
এই পৃথিবীতে ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ যার কোনো নির্মূল করার মতো ক্ষমতা এখনও
সৃষ্টি হয়নি। প্রায় প্রতিটি মানুষের ডায়াবেটিস হয়ে থাকে। প্রতিটি মানুষ বলতে
শুধুমাত্র যাদের লক্ষণগুলো দেখা যায়। তাঁদের এই রোগটি হয়ে থাকে। ডায়াবেটিস ভালো
করা সম্ভব হয় না। কিন্তু এটি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কিছু নিয়মকানুন মেনে চললেই এটা
নির্মূল করা সম্ভব। যদি হঠাৎ করে ইনসুলিনের মাত্রা অস্বাভাবিক হারে কমে গিয়ে
সুগারে নিয়ন্ত্রণ পরিমান বেড়ে গিয়ে বিপজ্জনক অবস্থায় পৌঁছে যায়। আমাদের শরীরের
কিছু ক্রেবস চক্রের মাধ্যমে যে গ্লূকোজ উৎপন্ন হয় এটাতে আমাদের শরীরের কার্যক্রম
পরিচালনা হয়ে থাকে।
আমাদের শরীরে ইনসুলিনের অভাবে গ্লূকোজ এর কাজ বন্ধ করে দেয়। তখন আমাদের শরীরে
চর্বির কোষ ভেঙ্গে নতুন শক্তি উৎপাদন শুরু করে।বলে রাখা ভালো আমাদের রক্তে
পিএইচ ৭ দশমিক ৩৪ থেকে ৭ দশমিক ৪৫ এর মধ্যে হলে ভালো। তবে এর চেয়ে কম হয়ে গেলে
এটি বিপজ্জনক।আমাদের শরীরের অনেক কিছু উলোটপালোট হয়ে যেতে পারে। যদি ডায়াবেটিস
সাতের নীচে নেমে যায়। তাহলে আমাদের হঠাৎ মৃত্যু হতে পারে। আর এই যে বেশিরভাগ টাইপ
ওয়ান ক্ষেত্রে হয়ে থাকে যা শিশু কিশোরদের জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরূপ।
ডায়াবেটিস রোগের লক্ষন সমূহ
সারা পৃথিবীতে প্রায় পঁয়তাল্লিশ কোটিরও বেশি মানুষ ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত।
আমাদের শরীরের রক্তের শর্করার পরিমাণ কমে যাওয়ার ফলেই ডায়বেটিসে আক্রান্ত হয়ে
থাকে। কিছু কিছু নিয়ম পালন করলে আমাদের এই ডায়াবেটিস থেকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব
হয়।আমাদের খাওয়া দাওয়া মেনে চলা।আর পাতে রাখুন ভালো সবজি।আমাদের দেশে প্রধানত
টাইপ ২ রোগি রায় বেশি এটাতে আক্রান্ত হয়ে থাকে। টাইপ ১ নিজে থেকেই শরীর ইনসুলিন
তৈরি করতে পারে না।
তাঁদের ওষুধের উপর নির্ভরশীল হতে হয়। তবে নিয়ম মেনে চললে এই সমস্যার সমাধান করা
সম্ভব।কিভাবে বুজবেন আপনি ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হয়েছেন তা উল্লেখ করা হলঃ
- মেজাজ ও বিরক্তি খিটখিটে হওয়া।
- শরীরে কেটে গেলে অতি সহজে ভালো হয়।
- অনেক ওজন বেড়ে যায়।
- আগের চেয়ে মিষ্টি খাবার বেশি খাওয়া।
- শরীর দুর্বল লাগে।
- ক্ষুধা বেড়ে যায়।
- বেশি পিপাসা লাগা ও প্রসাব হওয়া।
- চোখে কম দেখা বা ঝাপসা লাগা।
উপরের এই কারন ছারাও আরো অনেক কারনে ডায়াবেটিস এর লক্ষন দেখা দিতে পারে।আর এই
লক্ষন গুলো দেখলেই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহন করতে হবে।
ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার সমূহ
ডায়াবেটিস রোগীর জন্য সবচেয়ে কমন বিষয় হলো খাবার।আমরা বাঙ্গালি অনেক পেটুক।হাতের
কাছে যা পায় তাই খেয়ে ফেলি।কিন্তু আমরা ভাবি না যে কি খাচ্ছি। কতো টুকু
খাচ্ছি।আমরা জানি মানুষ না খেয়ে মরে না,বরং বেশী লোভ করে খেয়ে মরে।আর এই আবল তাবল
খাওয়ার জন্য আমাদের শরীরে নানান রোগের বাসাবাধে।আর এর মধ্যে অন্যতম হলো
ডায়াবেটিস।আর এই ডায়াবেটিসের ফলে আমাদের নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে।ডায়াবেটিস এমন
একটি রোগ যা রোগীকে তিলে তিলে ধ্বংস করে দেই।
আসুন আমরা জেনে নিই কোন খাবার গুলো একজন ডায়াবেটিস রোগীর জন্য হুমকি বা নিষিদ্ধ
খাবার তা নিয়ে আলোচনা করি।প্রথমত আমরা বাড়ীতে যে খাবার গুলো খাই সে গুলো ভালো
খাবার।এখন আপনি বলতে পারেন তাহলে তো সমস্যা হয়ার কথা না।আসলে সমস্যা টা হচ্ছে
আমরা যখন খাবার খাবো পরিমান মতো খাবো।আমরা কি করি রান্না ভালো হয়েছে ভরপুর
খায়।আবার সামনে মিষ্টি পেলে অতিরিক্ত খেয়ে ফেলি।এটাও ডায়াবেটিস হওয়ার জন্য
যথেষ্ট।আমরা আবার ফাষ্টফুড খাবার বেশী পরিমানে খাই।এই চর্বি যুক্ত,তেল যুক্ত
খাবার খেয়ে ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকি।তাই আমাদের যে খাবার গুলো খেলে
শরীরের জন্য ক্ষতি সে খাবার গুলো আমরা খাবো না।
আরো পড়ুনঃআরবি মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৫ সম্পর্কে
আপনার শরীরে ডায়াবেটিস হয়েছে কিভাবে বুঝবেন
সারাবিশ্বে প্রতি ৭ সেকেন্ডে একজন মানুষ ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।বাংলাদেশে
এর অবস্থা কম নই।মানুষ কে সচেতন করার জন্য আমাদের দেশে প্রতি বছর সরকারি মাধ্যমে
ডায়াবেটিস দিবস পালন করে আসছে।এখন কথা হচ্ছে কিভাবে বুঝবেন আপনি ডায়াবেটিস রোগে
আক্রান্ত হয়েছেন।আসলে প্রতিটি রোগের কিছু কারন থাকে।যেমন ধরুন মিষ্টি কম খেতেন
কিন্তু এখন বেশী খান।আবার ক্ষুধা পরিমান বেড়ে যায়।তাছাড়া অনেক সময় মুখ শুকিয়ে
যায়,পিপাসা বেশী লাগে।
এ রকম অনেক কারনে আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার ডায়াবেটিস হয়েছে।আর যাদের এই ঝুঁকি
রয়েছে তাদের অবশ্যই একবার হলেও ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা উচিত।বিশেষ করে যাদের বংশগত
এই রোগ আছে তাদেরকে বছরে একবার হলেও ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা দরকার।আর বিশেষ
করে শিশুদের তো অবশ্যই। আমাদের যে শুধু হাসপাতালে গিয়ে পরীক্ষা করতে হবে তা
কিন্তু না।এখন অনেক ফার্মেসীতে এই রোগের পরীক্ষা করছে।আপনি অতি দ্রুত আর খুব
সহজেই এই পরীক্ষা করাতে পারবেন।
শেষ কথাঃডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে জীবনযাত্রার পরিবর্তন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে জীবনযাত্রার পরিবর্তন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।আজকের আর্টিকেলে
যে ব্যাপারে আলোচনা করা হয়েছে তা খুবিই গুরুত্বপূর্ণ।আশা করি আপনারা অনেক উপকৃত
হবেন।যাদের ডায়াবেটিস রোগ আছে তারা টিপস গুলো পড়ে অনেক ভালো করবেন।আর তাছাড়া যদি
আপনি বেশী ডায়াবেটিস রোগে ভূগেন তাহলে ডাক্তারের শরনাপন্ন হবেন।আর যদি উপকৃত হোন
আর ভালো লাগে তাহলে বন্ধুদের কাছে শেয়ার করবেন।আপনার একটা শেয়ারে অন্য বন্ধুর উপকার হতে পারে।
আমি মনে করি ডায়াবেটিস রোগ একটি মানুষ কে মানসিক ভাবে দুর্বল করে তোলে।আপনার
সুস্থ অবস্থাতে যদি কোন লক্ষন বুঝতে পারেন, তাহলে আমি বলব আপনি দেরি না করে
অতিদ্রুত ডায়াবেটিস পরীক্ষা করুন।এতে আপনি অল্প থেকে চিকিৎসা নিতে পারবেন।আপনি
উপরের বিষয় গুলো থেকে খাওয়া পরিমান মত আর ব্যায়াম নিয়ম মত করে নিজেকে সুস্থ রাখতে
পারেন।সবশেষে বলবো ধূমপান মুক্ত থাকুন,বিশুদ্ধ পানি পান করুন দেখবেন আপনি
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে থাকবেন।
শেষ কথা বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url