একজন গর্ভবতী মায়ের যত্ন ও নিরাপদ মাতৃত্ব
একজন গর্ভবতী মায়ের যত্ন ও নিরাপদ মাতৃত্ব পরিচর্যা নিশ্চিত করা।মা দুনিয়াতে শুধু একটি ডাক নই,একজন মায়ের সবচেয়ে বড় সার্থকতা। এই ডাক শোনার জন্য একজন মাকে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত অনেক কিছু সহ্য করতে হই। একজন প্রথম গর্ভবতী মায়ের কাছে অনেক কিছু অজানা থেকে যাই।
প্রথম থেকে শিশু ভূমিষ্ট হওয়া পর্যন্ত তাকে অনেক সতর্কতা অবলম্বন করতে হই। একজন
গর্ভবতী মায়ের বাড়তি যত্নের জন্য পরিবারের সদস্যর এই ভূমিকা পালন করতে হবে।
তাছাড়া গর্ভবতী মাকেও বাড়তি সতর্ক থাকতে হবে। কারন মায়ের সতর্কতার কারনে আগত
বাচ্চার সুস্থ্যতা নির্ভর করে।
সূচিপত্রঃএকজন গর্ভবতী মায়ের যত্ন ও নিরাপদ মাতৃত্ব
- একজন গর্ভবতী মায়ের যত্ন ও নিরাপদ মাতৃত্ব
- গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা সমূহ
- গর্ভবতী মায়ের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা
- গর্ভাবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবে না
- গর্ভাবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবে
- গর্ভকালীন সেবা কার্ড নিশ্চিত করা
- একজন মায়ের মানসিক ও শারীরিক যত্ন
- গর্ভবতী মায়ের বাড়তি যত্ন নেয়া
- গর্ভবতী মায়ের প্রসব পরবর্তী সেবা
- শেষ কথাঃএকজন গর্ভবতী মায়ের যত্ন ও নিরাপদ মাতৃত্ব
একজন গর্ভবতী মায়ের যত্ন ও নিরাপদ মাতৃত্ব
একজন গর্ভবতী মায়ের যত্ন ও নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করতে হবে। একজন গর্ভবতী মা যখন
প্রথম কনসেপ্ট হয় তখন থেকেই তাঁর বাড়তি নিরাপদ এবং যত্নের প্রয়োজন পড়ে। একজন
গর্ভবতী মাকে প্রথম থেকেই তার বিভিন্ন ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। বিশেষ করে
যে বাড়তি যত্নের প্রয়োজন হয় সেটা যাতে একেবারে নিশ্চিত হয় সে ব্যাপারে পরিবারের
সকলকেই খেয়াল রাখতে হবে। কারণ একজন নতুন মায়ের কাছে এই ব্যাপারে সবকিছুই অস্পষ্ট
ও অজানা। এই ব্যাপারে পরিবারের পুরনো সদস্যদের বাড়তি খেয়াল রাখতে হবে।
একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য বিভিন্ন ধরনের খাবারের থেকে শুরু করে তার চলাফেরা আচার
ব্যবহার নিয়ে আর মেজাজ খিটখিটে ও শরীরের নানা ধরনের পরিবর্তন ইত্যাদি গুলো আমাদের
খেয়াল রাখতে হবে। যাতে করে তার কারনে বাচ্চার যাতে কোন ইফেক্ট না পড়ে। কারণ সে
যদি সুস্থ থাকে তাহলে বাচ্চা সুস্থ থাকবে। আর যদি মা অসুস্থ থাকে তাহলে বাচ্চাও
অসুস্থ থাকতে পারে। তাই আমাদের দুজনের জন্যই বাড়তি নজর রাখতে হবে। এতে করে
আমাদের মায়ের জন্য নিরাপদ মাতৃত্ব বজায় রাখতে পারি।
গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা সমূহ
শিশু গর্ভে থাকাকালীন অবস্থায় তাঁর অঙ্গপ্রত্যঙ্গ উপযুক্ত ভাবে গঠিত হয়ে থাকে। এই
সময় মাকে বাড়তি খাবার দিতে হবে। কারন বাড়তি খাবারের মাধ্যমে বাচ্চার শারীরিক গঠন
বেড়ে ওঠে। একজন মা যে খাবার টা খাই তা প্লাসেন্টার মাধ্যমে শিশুর দেহে খাবার
প্রবেশ করে। আমাদের দেশে অনেক পরিবার আছে, যারা এখনো প্রসূতি মায়ের যত্ন নেয়া
বুঝে না। যার কারনে দেশের অধিকাংশ মায়ের পুষ্টিহীনতায় ভূগে। যার ফলে ভূমিষ্ট
শিশুর অঙ্গ প্রত্যঙ্গ অসাভাবিক হয়ে থাকে। একটা বিষয় মনে রাখবেন মা জা খাবে বাচ্চা
তাই খাবে। মা যা খাচ্ছে তা উভয় সঠিক ভাবে পুষ্টি পাচ্ছে কিনা,সে বিষয়ে নজর রাখতে
হবে।
একজন প্রসূতি মায়ের জন্য প্রথম তিন মাস এবং শেষ তিন মাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ
এই সময় গর্ভের শিশুর অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সঠিক ভাবে গঠিত হয়। এ অবস্থায় বেশিরভাগ
মায়ের হিমোগ্লোবিন এর ঘাটতি হই। যার কারণে রক্ত শূন্যতা দেখা দিতে পারে। তাই
প্রয়োজনীয় ওষুধের পাশাপাশি সবুজ শাকসবজি, ফলমূল ও অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার
দিতে হবে। এখন আপনাদের জানতে হবে কখন কোন সময় কোন খাবারগুলো দিতে হবে। সকালবেলাতে
ওটস বা দুধের সাথে ফল, একটুকরো ব্লাউন ব্রেড,কলা ইত্যাদি। দুপুর বেলাতে দেওয়া
যেতে পারে ভাত,ডাল,সব্জি তার সাথে মাছ বা মাংস। বিকেল বেলাতে বিভিন্ন বাদাম দিতে
হবে। আর রাতের বেলাতে ্ররুটি,সবজি দেয়া যেতে পারে। তাছাড়া প্রসূতি মাকে
প্রচুর বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে।
গর্ভবতী মায়ের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা
একজন গর্ভবতী মায়ের প্রথমে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের দেশে অনেক
কমিউনিটি ক্লিনিক বা স্বাস্থ্যসেবা হসপিটাল রয়েছে। বিশেষ করে গরিব মানুষের জন্য
এই কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো অনেক উপকারে আসে। এখানে আপনি সঠিক সময়ে সুনিশ্চিতভাবে
সঠিক পরামর্শ এবং চিকিৎসা পেয়ে থাকে। একজন গর্ভবতী মাকে কমপক্ষে ৪ বার
স্বাস্থ্যসেবা পরীক্ষা করাতে হবে। যাতে করে গর্ভের শিশুর যদি কোনও সমস্যা হয়ে
থাকে। তা যাতে আগে থেকেই সমস্যা সমাধান করা যেতে পারে। এতে করে তার ভবিষ্যৎ সঠিক
কাঠামো নিশ্চিত হওয়া যায়।
একজন গর্ভবতীর মার নিয়মিত ভাবে ওজন পরীক্ষা করাতে হবে। তার ওজন কম হচ্ছে না,বেশি
হচ্ছে সে ব্যাপারে নজর রাখতে হবে। তা ছাড়া তাঁর ব্লাড প্রেসার আছে কিনা সে
ব্যাপারেও দেখতে হবে। কারন হাই প্রেসার হয়ে গেলে এটা প্রসূতি মায়ের জন্য
অনেক জটিল ব্যাপার। তা ছাড়া একজন প্রসূতি মাকে। পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি
বিভিন্ন ভিটামি্ন, আইর্ন, জাতীয় ওষুধ খেতে হয়। যেগুলো সরকারি ভাবে
নিকটস্থ কমিউনিটি ক্লিনিক বা হাসপাতাল গুলো থেকে বিনামূল্যে এই ওষুধ গুলো
পাওয়া যায়।
গর্ভাবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবে না
একজন প্রসূতি মা ও শিশুর জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খুবিই গুরুত্বপূর্ণ। কোন খাবারের
মাধ্যমে একজন শিশু সুন্দর ও সুস্থ হয়ে ওঠে। আমাদের সে বিষয়ে জানতে হবে।দেখুন সবজি
খাওয়া আপনার জন্য একেবারেই উপযুক্ত। তা ছাড়া আপনি বিশেষজ্ঞ গাইনি ডাক্তারের
কাছ থেকে পরামর্শ নিতে পারে। তা একজন মা কে অবশ্যই জেনে নিতে হবে। অবস্থায় কোন
কোন সবজি গুলো খাওয়া যাবে না। এতে করে আপনার বাচ্চা সুস্থ ও স্বাস্থ্যবান হয়ে
জন্ম গ্রহন করে। গর্ভাবস্থায় একজন নারীকে অনেক কঠিন সময় পার করতে হয়।
এই সময় আপনাকে বেচে নিতে হবে কোন খাবার গুলো আপনার খাওয়া উচিত নয়। গর্ভাবস্থায়
অনেক কিছু খেলে যেমন উপকার পাওয়া যায়। এখন অনেক কিছু এড়িয়ে চলতে হবে। বেশির ভাগ
শাক সবজি অনেক নিরাপদ৷ তবে কিছু কিছু সব্জি আমাদের পরিহার করা উচিত। সেগুলো আমি
এখন বিস্তারিত ভাবে আলোচনা। যেমনঃকাঁচা পেপে আপনি পাকা বা আধা পাকা খেয়ে থাকেন।
এই পেপে গর্ভবতী অবস্থাই কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।তবে এটি গর্ভপাত ঝুঁকি বাড়াতে
পারে। যদিও এটি উপকার তবুও এড়িয়ে চলা উচিত। তাছাড়া রাসায়নিক শাক সব্জি,সজনে
পাতা,করলা,বেগুন ইত্যাদি খাবার গুলো অনেক উপকার হলেও গর্ভবতী অবস্থাই না খাওয়া
ভালো।
গর্ভাবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবে
গর্ভাবস্থায় একজন প্রসূতি মায়ের জন্য বিভিন্ন ধরনের শাকসব্জি নিয়মিত ভাবে খাওয়া
যেতে পারে। কারণ আমাদের শরীরের গঠন সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণের জন্য শাকসবজি বিকল্প
কিছুই নেই। তবে অবশ্যই আমাদের তাজা শাকসবজি খেতে হবে।রাসায়নিক মুক্ত সবজি আছে
জমিতে আবাদ করার সময় রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হয় না। যেগুলো আমাদের জন্য অনেক
উপকার। তবে যেগুলো রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হই সে গুলো আমাদের না খাওয়াই উচিত।
সেটা খেলে আমাদের উপকার আছে। তবে ক্ষতিও বেশি। এ জন্য আমাদের সবসময় তাজা শাক
সবজি খেতে হবে। এখন আমাদের জানতে হবে কোন সবজি গুলো আমাদের খাওয়া যাবে। আসলে
আমাদেরকে কোন সব্জি বাদ দেওয়া যাবে না। কোন সবজি আমাদের ক্ষতির জন্য হয়নি। তবে
হ্যাঁ কিছু সবজি আছে যেগুলো গর্ভবস্থায় একটু এড়িয়ে চলতে হয়। যেমন রাসায়নিক যুক্ত
শাক সবজি ,সজনে পাতা,করলা ,বেগুন, কাঁচা পেঁপে এই গুলো অনেক সময় গর্ভ অবস্থাই
ক্ষতি করে।তাছাড়া আপনি সকল সবজি খেতে পারেন।
আরো পড়ুনঃদেশী গরু মোটাতাজাকরনের সঠিক পদ্ধতি
গর্ভকালীন সেবা কার্ড নিশ্চিত করা
গর্ভকালীন সময়ে সরকারি ভাবে কিছু সেবা কার্ড নিশ্চিত করে। আর এই সেবা কার্ড কে
ANC বলা হয়।এই ANC হল গর্ভকালীন সময় মাতৃত্য সেবা নিশ্চিত করা। এই কার্ডের
মাধ্যমে আপনি সরকারি ভাবে সকল সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। এই কার্ড শুধু রোগ
নির্ণয়ের জন্য ন্য,বরং এটি একজন মায়ের জন্য সঠিক খাবার,পরিচরযা ও জীবন যাপনের
জন্য তৈরী করা হয়। নিয়মিত চেকাপের পর একজন মা ও শিশুকে মৃত্যুর মত ঝুঁকি থেকে
রক্ষা করে। এতে করে দুজনের শারীরিক ও মানসিক ভাবে সুস্থ থাকে।
এখন আপনার প্রশ্ন হচ্ছে এই ANCকার্ড কিভাবে বানাব। আপনাকে এই কার্ড এর জন্য
নির্দিষ্ট সময় আবেদন করতে হয়। এই ANCকার্ড আবেদনের জন্য আপনাকে নিকটস্থ
স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা হাসপাতাল অথবা কমিউনিটি কেন্দ্রে গিয়ে যোগাযোগ করতে হবে। এতে
আপনার প্রাথমিক ভাবে তৈরি করে,যা গর্ভবতী মায়ের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সঠিক ভাবে
তথ্য লিপিবদ্ধ থাকে। আপনার যখন সময় হবে চিকিৎসা নেয়ার,তখন আপনি এই কার্ড নিয়ে কি
সেবা নিচ্ছেন তা লিখে রাখা হয়। আর তাছাড়া আপনার কখন কোন ওষুধ বা খাবার লাগবে তা
সবকিছুই উল্লেখ্য করা হই। তাই এই কার্ড অবশ্যই সঠিক ভাবে যত্ন করে রাখবেন।
একজন মায়ের মানসিক ও শারীরিক যত্ন
গর্ভবতী মায়ের মানসিক ও শারীরিক যত্ন নেয়া অত্যন্ত দরকারি বিষয়। একজন গর্ভবতী মা
যা করবে পেটের সন্তান এর তাই হবে। ধরেন গর্ভবতী মা যদি পরিমান মত পুষ্টিকর খাবার
খাই,তাহলে পেটের সন্তান পুষ্টিকর খাবার পাবে। এতে করে তারা দুজনেই সুষম খাবার
পেয়ে থাকে। আবার মনে করেন আপনি মা যে কোন বিষয় নিয়ে অনেক চিন্তা আছেন। তাহলে মনে
রাখবেন আপনার পেটের বাচ্চার একই রকম সমস্যা হবে।এক কথায় আপনি মা হিসেবে যা
করবেন,আপনার অনাগত বাচ্চা তাই করবে।
গর্ভবতী মাকে নানা বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। যেমন ধরেন আপনাকে মানসিক চাপ মুক্ত হতে
হবে।আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ এ রাখতে হবে।উচু নিচু স্থান দেখে চলাফেরা করতে হবে।
গর্ভবতী মাকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। আপনার পড়নের কাপড় চোপড় নিয়মিত ভাবে
পরিষ্কার করতে হবে।আরামদায়ক ও ঠিলেঠালা পোশাক পড়তে হবে। আর শক্ত জুতা না পড়ে,নরম
জুতা ব্যবহার করতে হবে। উচু হিল পড়া যাবে না।একজন প্রসূতি মাকে নিয়মিত শারীরিক
চেকাপ করতে হবে। কমপক্ষে ৪ বার ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। তাহলে একজন মা সুস্থ্য
থাকবে।
গর্ভবতী মায়ের বাড়তি যত্ন নেয়া
সন্তান পেটে আসার পর থেকে একজন গর্ভবতী মায়ের বাড়তি যত্ন নিতে হবে। কারণ একজন
মায়ের বাড়তি যত্ন না নিলে পেটের সন্তান বাড়তি যত্ন পায় না। আমি আপনাদের বাড়তি
যত্ন বলতে বোঝাতে চাচ্ছি যে স্বাভাবিক খাবারের পাশাপাশি আমাদের অতিরিক্ত
কিছু সুষম খাবার দিতে হবে যাকে আমরা পুষ্টিকর খাবার বলে থাকি। এই পুষ্টিকর খাবার
খেলে আপনি ও আপনার সন্তান ও পুষ্টিকর খাবার পাবে। এতে করে দুজনেই সুস্থ
থাকবে।আবার মনে করেন আপনাকে বিশ্রাম নিতে হবে।রাতে কমপক্ষে ৮ ঘন্টা ঘুমাতে
হবে। তাই বলে আপনারা শুধু শুয়ে বসে থাকলে হবে না।
যদি আপনি শুয়ে বসে থাকেন তাহলে পেটের সন্তান নীচে নামবে না। অর্থাৎ উল্টে যেতে
পারে। তাই আপনাকে স্বাভাবিক কাজ করে যেতে হবে। তবে হ্যাঁ আপনাকে ভারী কোন
কাজ করা যাবে না। যেগুলো চাললে আপনার শক্তি বা চাপ কোম লাগবে।
এছাড়াও আপনাকে পরিমাণমতো বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। কারণ আপনি যদি পানি পান না
করেন তাহলে আপনার সন্তানের জন্য ক্ষতি হতে পারে।তাছাড়া সবশেষে আপনাকে ডেলিভেরির
সময় বাড়িতে সন্তান প্রসব না করিয়ে হাসপাতালে গিয়ে সন্তান প্রসব করাতে হবে।
আরো পড়ুনঃভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম
গর্ভবতী মায়ের প্রসব পরবর্তী সেবা
গর্ভবতী মায়ের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ টপিক্স হচ্ছে প্রসব পরবর্তী সেবা যত্ন করা।
কারণ একজন গর্ভবতী মায়ের আগে তিনি ছিলেন একা। কিন্তু এখন দুজন। আগেকার মতো
খামখেয়ালি ভাবে চলাফেরা করলে চলবে না। কারণ তাঁর সেবা যত্ন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন
বিভিন্ন কারণের উপর নির্ভর করে বাচ্চা দ্রুত বেড়ে ওঠে। বাচ্চা প্রসবের পর একজন
মায়ের নিয়মিত চেকআপ করাতে হবে। যাতে করে বাচ্চার কোনরকম কোনো ধরনের অসুখ না
ভোগে।কারন সঠিক ভাবে যত্ন না নিলে ছোট বাচ্চার জন্য অনেক কষ্টো হয়ে থাকে।
আবার একজন মায়ের বাচ্চার জন্য রাতে জেগে থাকতে হই। এতে করে মায়ের ঘুমের ঘাটতি
দেখা যায়।এদিকেও আমাদের পরিবার কে নজর দিতে হবে। শিশুর জন্মের পর অবশ্যই মায়ের
বুকের দুধ প্রথমে খাওয়াতে হবে এবং পরবর্তী ছয় মাস মায়ের বুকের দুধ নিয়মিত
খাওয়াতে হবে। অন্য কোনও খাবার দেওয়া যাবে না। পরবর্তী ছয় মাস পর দুই বছরের মধ্যে
মায়ের দুধের পাশাপাশি বাড়তি খাবার দেওয়া যায়। এতে করে বাচ্চার দ্রুত শারীরিক
গঠনে সহায়তা করে। এছাড়া অনাগত বাচ্চা কে জন্মের পর বিসিজি টিকাসহ সবগুলো টিকা
সঠিক সময়ে নিয়ম করে দিতে হবে। তাছাড়া মা-বাবা কে সঠিক সময়ে পরিবার পরিকল্পনা
গ্রহন করতে হবে। যাতে করে পরবর্তীতে কোন রকমের সমস্যা না হই।
শেষ কথাঃএকজন গর্ভবতী মায়ের যত্ন ও নিরাপদ মাতৃত্ব
একজন গর্ভবতী মায়ের যত্ন ও নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করা। আমি মনে করি একজন মা হল
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সম্পদ। এই মাকে কোন কিছু দিয়ে তুলোনা করা যায় না। একজন গর্ভবতী
মায়ের সঠিক ভাবে লালনপালন করতে হবে। এই মায়ের জন্য আমরা পৃথিবীর আলো দেখতে
পেয়েছি। তাই এই মায়ের নিরাপদ মাতৃত্ব প্রদান করতে হবে।আমি আপনাদের সাথে যে আলোচনা
টি করলাম তা আপনাদের কতটুকু ভালো লেগেছে,তা আপনারাই ভালো করে বলতে পারবেন।
আমি মনে করি যা আলোচনা হয়েছে আপনাদের অনেক উপকারে আসবে। যদি এতটুকু উপকার হয়
তাহলে শেয়ার করে বন্ধুদের দেখাবেন।যাতে করে তারাও কিছু হলে উপকৃত হয়। উপরের
আলোচনা গুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তারপর যদি গর্ভবতী মায়ের কোন সমস্যা হয় তাহলে
ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহন করবেন। কারন সঠিক চেকাপের মাধ্যমে নিশ্চিত জন্মদান
সম্ভব। একজন নতুন শিশু সঠিক ভাবে বেড়ে উঠে তাহলে আমরা ধন্য। কারন একটি শিশুর হাসি
আমার আপনার কাছে অমূল্য সম্পদ।
শেষ কথা বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url