বাহরাইন যেতে কতো টাকা লাগে

বাহরাইন যেতে কতো টাকা লাগে,কিভাবে যেতে হয়, এর ভিসা প্রসেসিং কিভাবে করতে হয় অধিকাংশ মানুষের মনে প্রশ্ন লেগেই থাকে। তাছাড়া আপনাদের জানার ইচ্ছা থাকে বাহরাইনে কাজের পরিবেশ কেমন। আমরা আজ এই সকল প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবো। যাতে আপনারা সহজে সব বুঝতে পারেন।

বাহরাইন

বাহরাইনের কর্ম পরিবেশ অন্য দেশের চেয়ে আলাদা। বিশ্বের উন্নত দেশের মধ্যে বাহরাইন অন্যতম একটি দেশ। এই দেশে কাজের উপর নির্ভর করে বেতন ধার্য করা হয়। আপনি যেমন কাজ করবেন তেমনি টাকা পাবেন। এ জন্য আপনাকে আগে জানতে হবে কোন কাজের জন্য কেমন বেতন পাবেন। চলুন এখন আমরা এই বিষয়ে বিস্তারিত জানব।

পেজ সূচিপত্রঃবাহরাইন যেতে কতো টাকা লাগে

বাহরাইনে ভিসা পাওয়ার সহজ উপায়

বাহরাইনে ভিসা পাওয়ার সহজ উপায় জেনে নিব। তোবে আমাদেরকে ভিসা পাওয়ার জন্য কিছু নিয়ম অবলম্বন করতে হবে। আগে ভাবতে হবে আপনি কোন ভিসা চান। মানে অনেকেই আছে পড়াশোনার জন্য যেতে চায়। সেটা অবশ্যয় আলাদা ব্যাপার। বাংলাদেশে দুই মাধ্যমে ভিসা প্রসেসিং করে থাকে। প্রথমত সরকারি আর পরেরটা বেসরকারি ভাবে যাওয়া যায়। সরকারি ভাবে গেলে আপনাকে বোয়েসেলের মাধ্যমে নিয়োগ হয়ে যেতে হবে। তোবে সরকারি ভাবে গেলে অল্প খরচে যাওয়া যেতে পারে। সেখানে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে থাকে।

সেখানে অ্যাকাউন্ট খুলে আপনি সহজেই আবেদন করতে পারবেন। আর তাছাড়া বিভিন্ন এজেন্সি আছে তারা বিভিন্ন মাধ্যমে ভিসা দিয়ে থাকে। এদের মাধ্যমে গেলে আপনার খরচ তুলোনা মূলক বেশি পড়বে। তাদের কাছে আপনার বিভিন্ন কাগজ জমা দিতে হবে। পরে তারা কাগজপত্র দেখে ব্যাবস্থা নিয়ে থাকে। তবে বেসরকারি মাধ্যমে দালাল বেশি থাকে। এ জন্য আপনাকে সতর্কতা মেনে কাজ করতে হবে। আপনাকে ভিসার আগে দেখতে হবে কোন কাজে যাচ্ছেন। কোন কাজের বেতন কতো দিবে। আপনার ভিসার মেয়াদ ঠিক আছে কিনা। এই সব কিছু মিলিয়ে দেখে ভিসা নিলে ভালো হবে বলে আমি মনে করি।

বাহরাইন যেতে কতো টাকা লাগে

বাহরাইন যেতে কতো টাকা লাগে এটা সবারি জানার ইচ্ছা থাকে।বাহরাইন উন্নত দেশের মধ্যে একটি। বাংলাদেশের মানুষ অনেক স্বপ্ন নিয়ে বিদেশ পাড়ি জমায়। বাহরাইন যেতে কতো টাকা লাগে সেটা নির্ভর করে কাজের ধরন দেখে। কারন চাহিদার উপর নির্ভর করে। তাছাড়া এজেন্সি গুলো তাদের এক এক জন রেট কম বেশি করে থাকে। বাংলাদেশ থেকে কাজের ভিসার জন্য মোটামুটি  ৪ থেকে ৬ লক্ষ টাকা খরচ হবে।

তবে এই টাকার রেট এজেন্সি গুলো বিভিন্ন জন বিভিন্ন রকমের খরচ চেয়ে থাকে। আবার আপনার নিকট আত্বীয় হলে এই রেট কমে যেতে পারে। আবার ধরুন বিদেশে আপনজন কেউ থাকলে সেই মাধ্যমে ভিসার খরচ কম লাগে। এজন্য নির্দিষ্ট করে বলা মুশকিল যে আসলে কতো টাকা লাগে বাহরাইন যেতে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

বাহরাইনে কোন কাজের চাহিদা বেশি

বাহরাইনে কোন কাজের চাহিদা বেশি তা জানার জন্য অনেকেই গুগোলে খুঁজে দেখেন। বাহরাইনে কাজের শেষ নাই। তাদের কাছে পর্যাপ্ত পরিমানে কাজ থাকে। কারন সে দেশে লোকবলের অভাব। আগে ভিসা বন্ধ থাকলেও এখন অনেক লোক নিচ্ছে। এজন্য বাংলাদেশ থেকে প্রতিনিয়ত লোক সেই দেশে যায় কাজ করার জন্য। আর এ জন্য আপনি ঘরে বসে সে দেশের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। বাহরাইন সরকার নতুন ভাবে অনেক লোক নিচ্ছে। এখন আমরা জেনে নিবো কোন কাজের চাহিদা বেশি থাকে।
  • ড্রাইভিং
  • কনস্ট্রাকশন
  • রেষ্টুরেন্ট ক্লিনার
  • রোড ক্লিনার
  • গ্লাস ক্লিনার
  • কৃষি কাজ
  • বাসা বাড়ী কাজ
  • শেফ
  • শপিংমল
  • মেকানিকাল
  • ইলেকট্রিশিয়ান
এবার বুঝতে পেরেছেন যে উপরের এই সকল কাজের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। বাহরাইন সরকার এই কাজের জন্য অনেক ওয়ার্ক পারমিট ভিসা দিচ্ছে। আপনি যদি এইসব কাজে অভিজ্ঞ হোন তাহলে খুব সহজেই ভিসা এবং কাজ দুটোই খুব দ্রুত পেয়ে যাবেন। আর আপনার বেতন বেশি হবে। তাই আপনার যেটা পছন্দ কাজ সেটা বেঁচে নিয়ে, দ্রুত ওয়ার্ক পারমিট ভিসা দিয়ে বাহরাইন যেতে পারেন।

বাহরাইনের ভিসা খোলা না বন্ধ

বাহরাইনের ভিসা খোলা না বন্ধ সে বিষয়ে আলোচনা করবো। বাহরাইন পৃথিবীর অন্যতম একটি দেশ। এই দেশে প্রতি বছর অনেক লোক তারা নিয়ে থাকে। বাংলাদেশেও থেকেও অনেক শ্রমিক নিয়ে থাকে। কিন্তু হঠাৎ করে ২০১৮ সাল থেকে শ্রমিক নেয়া বন্ধ করে দেয়। যার কারণে তখন থেকে শ্রমিক যাওয়া বন্ধ আছে। তবে করনার পরে চালু হলেও এখন পুরোপুরি বন্ধ আছে। ভিসা কবে দিবে বা কখন থেকে শুরু হবে এর নির্দিষ্ট কোন আপডেট নাই।

তবে বিভিন্ন পরিস্থিতি স্বাভাবিক এবং প্রয়োজনীয় শর্তগুলো যদি পূরণ করা হয় তবে অবশ্যই আবার কার্যক্রম শুরু হবে বলে আশা করা যায়। তবে কবে থেকে চালু হবে সে সম্পর্কে ভালো ভাবে জানতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে বাহরাইনের দূতাবাস যোগাযোগ  করতে হবে। তাহলে সব চাইতে সঠিক তথ্য আরও ভালোভাবে পেয়ে যাবেন বলে আমি আশা করি।

বাহরাইনে ভিসা পেতে কতো বয়স লাগে

বাহরাইনে ভিসা পেতে কত বয়স লাগে এ বিষয়ে আমরা এখন জানব। প্রতিটি দেশে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিয়ে থাকে। কাজের মাধ্যমে শ্রমিক নিয়োগ প্রদান করে থাকে। আর বাংলাদেশের প্রবাসীরা অনেক বৈদেশিক মুদ্রা এদেশে আনে। এখন আমরা জানবো ভিসা পেতে কত বয়স হলে আপনি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। বাহরাইন সরকার কাজের ভিসার জন্য ২১ বছর থেকে ৬০ বছর পর্যন্ত  আবেদন করার অনুমতি প্রদান করে থাকে। কারণ ২১ বছরের নিচে নিলে সেটা শিশু শ্রম হিসেবে ধরা হতে পারে। তাই বাহরাইন সরকার ২১ বছর থেকে ৬০ বছর এর মধ্যে শ্রমিক নিয়ে থাকে। আশা করি বিষয়টা বুঝতে পেরেছেন।

বাহরাইনে বেতন কেমন দিবে জানুন

বাহরাইনের বেতন কত সে সম্পর্কে বাহরাইনের কাজের দক্ষতা,অভিজ্ঞত, যোগ্যতার উপর নির্ভর করে। আপনি যদি অভিজ্ঞ হয়ে সেখানে যেতে পারেন ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। যেমন কাজে দক্ষতা তার তেমন বেতন নির্ধারণ হয়ে থাকে। আপনি যদি অভিজ্ঞতা অর্জন করতে না পারেন তাহলে তো আপনার বেতন সে পরিমানে হবে না।আপনি যে বিষয়ে দক্ষ, সে বিষয়ে আপনি কাজ শিখে ভিসার জন্য আবেদন করবেন। আপনি ভিসা দ্রুত পেয়ে যাবেন।কারন তাদের দক্ষ লোকের বেশি  চাহিদা। বাহারাইন যেতে অনেক টাকা পয়সা খরচ হয়।

আপনি যদি আত্মীয়-স্বজন বা পরিচিত কারো সাথে যোগাযোগ করে বাহরাইন যেতে পারেন। তাহলে আপনি অল্প খরচে বাহরাইন যেতে পারবেন। এত করে আপনার খরচটা অনেক কম হবে। বাহারাইনে কনস্ট্রাকশন,ইলেকট্রিশিয়ান,ড্রাইভিং,মেকানিকাল এসব কাজে প্রচুর চাহিদা রয়েছে। আপনি যদি শিখে যেতে পারেন তাহলে আপনি প্রচুর পরিমাণে বেশি বেতন পাবেন। অভিজ্ঞ ও দক্ষ কাজের জন্য তারা ৭০০ থেকে ৮০০ দিনার বেতন দিয়ে থাকে। যা বাংলাদেশের টাকায় প্রায় ২,২৫,০০০ টাকা থেকে ২,৫৫,০০০ টাকা বেশি। 

বাহরাইনে কোন কাজের বেতন বেশি

বাহরাইনে কোন কাজের বেতন বেশি তা জানবো। বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ বিদেশ যাওয়ার আগে জানতে চাই কেমন বেতন দিবে। কারণ কাজ শেষে বেতনটাই  আসল। আপনাদের জানতে হবে  বাহারাইন গেলে কত বেতন বেশি দিবে।বাহরাইন একটি উন্নত দেশ। তারা বাংলাদেশ থেকে প্রচুর শ্রমিক নিয়ে থাকে। বাংলাদেশের শ্রমিকদের সে দেশে যেতে অনেক টাকা খরচ হয় এজেন্সির মাধ্যমে। সেখানে যাওয়ার আগে অবশ্যই আপনাকে কাজের দক্ষতা অর্জন করতে হবে। কারণ যদি দক্ষতা থাকে তাহলে আপনার বেতন বেশি হয়ে যাবে।

সে দেশে ইলেকট্রিশিয়ান, কনস্ট্রাকশন, মেকানিক্যাল কাজগুলো তাদের বেশি চাহিদা থাকে। এসব কাজে দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা দেখাতে পারলে আপনার বেতন সবচাইতে বেশি হবে। তাই বাহরাইন যাওয়ার আগে অবশ্যই এই কাজগুলো ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করে তারপরে বিদেশ যেতে পারেন। কাজের চাহিদার জন্য মাস শেষে আপনি প্রায় ৭০০ থেকে ৮০০ দিনার ইনকাম করতে পারবেন। বাংলাদেশের টাকায় প্রায় দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকারও বেশি হয়।

বাহরাইনে বাংলাদেশের টাকার রেট কতো

বাহরাইনে বাংলাদেশের টাকার রেট কতো তা জানার জন্য অনেকেই সার্চ করে থাকেন।বাহরাইন পৃথিবীর অন্য দেশের চাইতে অন্যতম একটি দেশ। বাহারাইন মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র। বাহরাইনে প্রচুর পরিমাণে অর্থনীতির বাজার গড়ে উঠেছে। বাহরাইনে পাঁচ ভাগের মধ্যে তিন ভাগই কাজ করে বিদেশী শ্রমিকেরা। যার কারন হচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক ভালো। যার কারণে আশেপাশে বিভিন্ন দেশ থেকে সে দেশে শ্রমিকেরা কাজের করতে আসে। তারমধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।

বাংলাদেশ থেকে বাহারাইন যেতে অনেক টাকা খরচ হয়। বাহরাইন মধ্যপ্রাচ্যর দেশ হওয়ায় টাকার মান অনেক বেশি। বাহরাইনে ১ দিনার সমান বাংলাদেশের প্রায় ৩২২ টাকা হয়। যার কারণে দেশের মানুষ সে দেশে যাওয়ার জন্য মুখিয়া হয়ে থাকে।

বাহরাইনে ভিসা হতে কতো দিন লাগে

বাহরাইনে ভিসা হতে কতো দিন লাগে সে ব্যাপারে জানবো। বাহরাইন একটি পশ্চিমা মধ্য প্রাচ্যর দেশ। সে দেশে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশের মানুষ আগ্রহি হয়ে থাকে। কারন সে দেশের কাজের পরিবেশ এবং টাকার পরিমাণ বেশি। যদিও যেতে অনেক টাকা খরচ হয়। তবুও বাংলাদেশের মানুষ বিভিন্ন ভাবে টাকা তারা সংগ্রহ করে সেই দেশে পাড়ি জমায়। বাহরাইনে যাওয়ার জন্য আপনি যদি আবেদনপত্র পূরণ করে, পাসপোর্ট দিয়ে, আপনার ছবি এবং বিভিন্ন কাগজের প্রমাণপত্র জমা দিতে পারেন।

তাছাড়া আপনাকে ভিসা ফি পরিশোধ করতে হবে। সবকিছু করার পরে আপনাকে অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ৩ থেকে ৫ কর্ম দিবসের মধ্যে হয়ে যায়। তারপরও অনেক সময় দেখা যায় কাগজপত্রে জটিলতা বা সার্ভার জটিলতার কারণে বিভিন্ন কারনে এর  চাইতে বেশি সময় লাগতে পারে। তাছাড়া সব ঠিক থাকলে সাধারনত তিন থেকে পাঁচ দিন মধ্যে ভিসা প্রসেসিং হয়ে যায়।

পাঠকের শেষ কথা

আপনার এতক্ষণ আলোচনা থেকে বুঝতে পারলেন যে বাহারাইন যেতে কি করতে হবে। আর কাজের পরিবেশ কেমন। কোন কাজের চাহিদা কেমন, কেমন বেতন দিবে জানতে পারলেন। আমি আশা করব বাহরাইন গেলে আপনার ভবিষ্যৎ অনেক উজ্জ্বল হবে। যদিও এখনো বাহারানে ভিসা চালু হয় নি। আর হয়ে গেলে আপনারা বাহরাইন যেতে পারবেন। আমি শুধু আপনাদের একটা বিষয় পরামর্শ দিব। যে কাজের জন্য যান না কেন সেটা অবশ্যই দক্ষ হয়ে যাবেন। যাতে করে আপনারা বেশি টাকা উপার্জন করতে পারেন।

পরিশেষে একটা কথা বলতে চাই আমার এই আলোচনা এতটুকু ভালো লেগে থাকে অবশ্যই আপনার নিকট বন্ধুদের কাছে শেয়ার করবেন। তারাও এ বিষয়গুলো জেনে বুঝে কাজ করতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

শেষ কথা বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url