শবে কদর রাত পালনের সঠিক নিয়ম
শবে কত রাত পালনের সঠিক নিয়ম সম্পর্কে আজ আমি আজকের আর্টিকেল নিয়ে আলোচনা করব। আরবি সনের ১২টা মাসের মধ্যে সবচাইতে ফজিলত পূর্ণ মাস হচ্ছে পবিত্র রমজান মাস। এই রমজান মাসে সকল মুমিন ব্যক্তিগণ সিয়াম সাধনার মাধ্যমে দীর্ঘ এক মাস অতিবাহিত করেন।
আর রমজান মাসে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ একটি রাত হচ্ছে শবে কদরের রাত।
মুসলিম ব্যক্তির জন্য এক মহিমান্বিত রাত। এই রাতে সারা রাত ধরে ইবাদত করলে
হাজার মাসের চাইতে উত্তম। আল্লাহ তায়ালা সূরা কদর এ এই রাতের বিষয়ে বলেছেন।
পেজ সূচিপত্রঃশবে কদর রাত পালনের সঠিক নিয়ম
শবে কদর রাত পালনের সঠিক নিয়ম
শবে কদর রাত পালনের সঠিক নিয়ম আমরা জানব। বিশ্বের সকল মুসলিম উম্মাহ পবিত্র মাহে
রমজান এর জন্য অপেক্ষা করে। কারন রমজান মাস মুমিন্দের জন্য খুশীর বার্তা নিয়ে
আসে। আর আল্লাহ তায়ালা এই পবিত্র রমজান মাসে আল কুরআন নাযিল করেন। শবে কদর রাতে
অর্থাৎ লাইলাতুল কদর রাতে এই পবিত্র আল কুরআন নাযিল করেন। এ জন্য রমজান মাস তথা
লাইলাতুল কদর রাত কে অনেক গুরুত্তের সাথে পালনের হুকুম দিয়েছেন। এখন জানতে
হবে কবে থেকে এই রাত পালন করব।
এই জন্য আপনাকে আগে জানতে হবে কোন রাত শবে কদর রাত। ২০ রমজানের পর নাজাতের শেষ ১০
দিনে অর্থাৎ বিজোড় রাতে ২১,২৩,২৫,২৭ এবং ২৯ তারিখে পবিত্র শবে কদর বা লাইলাতুল
কদর আমাদেরকে তালাশ করতে হবে। এজন্য আপনাকে ২০ রোজার দিন অর্থাৎ সন্ধ্যার
আগে আপনাকে মসজিদে প্রবেশ করতে হবে এবং ঈদের শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা দেয়া পর
আপনাকে মসজিদ থেকে বের হয়ে আসতে হবে। তাহলে মুমিন ব্যক্তিগন আশা করা যায় শবে কদর
রাত খুঁজে পাবে।
শবে কদর রাতের ইতিহাস সম্পর্কে
শবে কদর রাতের ইতিহাস সম্পর্কে আমরা এখন আলোচনা করবো। মহানবী হযরত মুহাম্মদ
(সাঃ) নূর পর্বতের হেরা গুহায় ধ্যানমগ্ন অবস্থায় শবে কদর রাতে ৬১০
খ্রিস্টাব্দে প্রথম আল কুরআন নাজিল করা হয়। সূরা আলাকের প্রথম ৫ আয়াত মহানবী
(সাঃ) এর উপর প্রথম নাজিল হয়। এসময় ফেরেশতা জিবরাইল (আঃ) এর উপর সমস্ত কোরআন
নাযিল করার পরে,তিনি ধীরে ধীরে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় ও ঘটনাবলি প্রেক্ষিতে
নির্দিষ্ট আয়াত নাজিল করা হয়। যা পরবর্তী ২৩ বছর ধরে এই পবিত্র আল কোরআন মহানবী
(সাঃ) নিকট অবতীর্ণ হয়। আগে মহানবী (সাঃ) এর পূর্বে নবী ও তাদের অনুসারিরা অনেক
বছর ধরে তাঁরা বেঁচে থাকত।
আর বেঁচে থাকার কারণে তারা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য অনেক ইবাদত করার
সুযোগ পেত। কিন্তু মহানবী (সাঃ) ও তার অনুসারিরা তাদের আয়ু অনেক কম থাকায়
আল্লাহ ইবাদত এর সুযোগ কম পেত। যার ফলে তারা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন বেশি করে
করতে পারত না। এজন্য তাঁদের মনে একটা আক্ষেপ ছিল। এই আক্ষেপের কারণে তাদের
চিন্তা দূর করার জন্য শবে কদর নাজিল করা হয়। এই শবে কদরের জন্য একটি পূর্ণ কদর
সুরা নাজিল করা হয়। যা ১০০০ মাসের চাইতেও উত্তম।যা আমরা হাদিস থেকে জানতে পারি।
শবে কদর রাতে ফজিলত সম্পর্কে
শবে কদর রাতে ফজিলত সম্পর্কে আমরা
জানব। মুসলিমদের জন্য সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি রাত আছে। এই পাঁচটি রাতের
মধ্যে সবচাইতে একটি হচ্ছে শবে কদরের রাত। কেউ যদি এই পাঁচটি রাত ইবাদতের মাধ্যমে
অতিবাহিত করে তার কিয়ামতের দিন হাশরের ময়দানে ঢাল হয়ে দাঁড়াবে। তার মধ্যে একটি
হচ্ছে শবে কদর বা লাইলাতুল কদর নামে আমরা জানি সেই রাত। লাইলাতুল কদর রাত হাজার
মাসের চেয়েও উত্তম। অর্থাৎ আপনি যদি একটি রাত সঠিকভাবে এবাদত করার মাধ্যমে
পালন করতে পারেন।
তাহলে হাজার মাস অর্থাৎ ৮৩ বছরের বেশি আপনি আপনার আমল নামায় সওয়াব পেয়ে যাবেন।
এখন ধরেন আমি আপনি বাঁচবো কতদিন ৭০-৮০ বছর।কিন্তু এক রাতের বিনিময়ে এর চেয়ে বেশী
আমল পেয়ে যাচ্ছি। তাহলে হচ্ছে এভাবে যদি আমরা প্রতি রমজানে এই রাত পালন করে
থাকি তাহলে ভেবে দেখেছেন মৃত্যু পর্যন্ত কতো বছরের নামাজের সওয়াব পেয়ে যাবেন। তাই
শবে কদর বা লাইলাতুল কদর রাত পালনের জন্য আমাদের অবশ্যই গুরুত্বের সাথেই পালন
করতে হবে। খামখেয়ালি করে রাতটাকে নষ্ট করা যাবে না।যাতে আল্লাহ তায়ালা খুশী
হয়।
শবে কদর কবে পালিত হবে
শবে কদর কবে পালিত হবে তা আমরা এখন জানব। শবে কদর অর্থাৎ লাইলাতুল কদর তালাশ করতে
হবে এটি কবে আসলে। শবে কদর রাত কবে কেউ বলতে পারে না। তবে কিছু কিছু
গুরুত্বপূর্ণ আলামত আছে যেগুলো দেখলে বুঝা যায় যে এই রাত টাই শবে কদর রাত। আমরা
পরবর্তী টপিক এ শে কদরের আলামত নিয়ে আলোচনা করব। এখন আপনারা জেনে রাখুন যে কবে
পালিত হবে এই সবে কদর রাত। মুসলিম বিশ্বে মুসলমানদের জন্য সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ
মাস হচ্ছে রমজান মাস। রমজান মাসের শেষ ১০ দিন।
অর্থাৎ নাজাতের শেষ ১০ দিনের বিজোড় রাতগুলোতে শবে কদর পালিত হয়ে থাকে। তবে অনেকেই
মনে করেন যে ২৭ রমজান শবে কদর রাত। তবে এটা নিশ্চিত করে বলা যাবে না। মহানবী
(সাঃ) বলেন, তোমরা শেষ ১০ দিন বিজোড় রাত অর্থাৎ ২১,২৩,২৫,২৭ ও ২৯ রমজান শবে
কদর রাত তালাশ করো। এর মধ্যে যে কোন দিন শবে কদর রাত পালন হয়ে যাবে। তবে যারা
নির্দিষ্ট দিনে পালন করে সে হিসেবে ২০২৫ সালের ২৮ শে মার্চ, ২৭ রমজান শবে
কদর উদযাপিত হবে। আমরা এই রাত কে গুরুত্বের সাথে পালন করবো।
শবে কদর এর নামাজ কতো রাকাত
শবে কদরের নামাজ কত রাকাত এটা নির্দিষ্ট কোন মাশালা নেই। তবে বিভিন্ন বইপত্র
থেকে জানা যায় যে সর্বনিম্ন ১২ রাকাত সর্বোচ্চ যে যার মতো করে এই নামাজ পড়তে
পারে। তবে এই নামাজ নির্দিষ্ট কোন রাকাত নেই। আমরা মুমিন ব্যক্তিগণ যখন শবে
বরাত রাতটি উদযাপন করি। তখন আল্লাহর কাছে সন্তুষ্ট অর্জনের জন্য দুই রাকাত নফল
নামাজ আদায় করি। দুই রাকাত নামাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পর, আবার দুই রাকাত পড়ে
থাকি। অর্থাৎ দুই রাকাত দুই রাকাত করে মোট চার রাকাত নামাজ পড়ি। এ ভাবে
আপনি সারারাত যত ইচ্ছা আপনি নামাজ পড়তে পারেন। তাছাড়া বিভিন্ন দোয়া পাঠ
করবেন।
তবে মূল কারণ হচ্ছে আল্লাহ তায়ালাকে সন্তুষ্ট করার। এই রাতে আল্লাহ ফেরেশতা
সরাসরি এই নামাজের নেকি এবং তাদের জন্য রহমতের দোয়া করতে থাকে। এই নামাজে সুরা
কদর পড়তে হবে। অর্থাৎ শবে কদর নামাজে নিয়ত করার পর সূরা ফাতিহা পড়ে তাঁর সাথে
কদর সূরাটা মিলিয়ে পরতে হবে। কেউ যদি না পারে সমস্যা নেই। অন্য সূরা পড়েও নামাজ
আদায় করা যাবে। তবে আমাদের মধ্যে দেখি অনেক মানুষ পাল্লাপাল্লি দিয়ে নামাজ পড়ে।
কে কত রাকাত করে পড়তে পারে এ নিয়ে অনেক দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগে। আমি বলব সেটা না
করে আপনারা আল্লাহকে খুশি করার জন্য আপনি যতটুকু পারেন ধীরে ধীরে নামাজ আদায়
করাই উত্তম।
আরো পড়ুনঃআরবি মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৫ সম্পর্কে
শবে কদর এর নামাজ পড়ার নিয়ম
শবে কদরের নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে এখন আমরা আলোচনা করব। আমরা জানি প্রতিটি
নামাজের একটা নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। ঠিক তেমনই শবে কদর নামাজের নির্দিষ্ট
একটা নিয়ম আছে। তবে অন্যান্য নামাজের মতোই শবে কদর নামাজ পড়ার নিয়ম একই।
প্রথমে আপনাকে সঠিক ভাবে নিয়ত করতে হবে। আমি আজকে শবে কদর রাতটি সারা রাত ধরে
পালন করব, ইবাদত করব, নফল নামাজ পড়বো, কোরআন তেলাওয়াত করব দোয়া পাঠ করবো।
এখন আমরা জানবো শবে কদর নামাজ পড়া সঠিক নিয়ম। প্রথমে আপনাকে অযু করে
মসজিদে প্রবেশ করতে হবে। দুই রাকাত নফল নামাযের নিয়ত করতে হবে। আপনি
আরবিতে বা বাংলা নিয়ত করতে হবে।
এরপরে সুরা ফাতিহা পড়ে তার পরে কদর সুরা পড়তে হবে। জানা না থাকলে আপনি
অন্য সুরা পড়বেন। তার পরে এক রাকাত শেষ হলে, দ্বিতীয় রাকাত আপনি ফাতিহা সাথে
অন্য একটি শুরা পড়বেন। এ ভাবে দুই রাকাত দুই রাকাত করে চার রাকাত নামাজ পড়বেন।
চার রাকাত হয়ে গেলে কিছুক্ষণ বসবেন দোয়া যিকির পাঠ করবেন। তারপর আবার নামাজ
শুরু করবেন। নির্দিষ্ট কোন নিয়ম নেই যে এত রাকাত পড়তেই হবে। বিভিন্ন বই পত্রে
সর্বনিম্ন ১২ রাকাত পড়তে হবে। তো যেহেতু আমরা মসজিদে নামাজ পড়তে যাই৷ সবারি ১২
রাকাতের বেশি নামাজ পড়া হয়। আশা করি আপনি নামাজের নিয়ম গুলো বুঝতে
পেরেছেন।
শবে কদর রাত গোনাহ মাপের রাত
শবে কদর রাত গোনাহ মাপের রাত। একজন মুমিন ব্যক্তির জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ
রাত। কারণ আমরা আল্লাহর বান্দা শয়তানের প্ররোচনায় দিন রাত শুরু করে প্রতিটি
মুহূর্তে গোনা৷ করে যাচ্ছি। এই গোনা থেকে আমরা কখনওই রেহাই পাচ্ছি না। যার
কারণে আরবি সনের এই রমজান মাসে আমাদের সবচাইতে বড়ো গোনাহ মাপের একটি সুযোগ হয়ে
দাঁড়ায়। এই পবিত্র রমজান মাস প্রতি মুহূর্তে নেকী রোজগার করার মাস। আপনি
যদি একটি নেকী অন্য মাসে করেন যে সওয়াব পাবেন। সেই নেকী রমজান মাসে করলে এক
নেকী বা ভালো কাজের জন্য ৭০ নেকী পাবেন।
এমনকি ৭০০ হয়ে যেতে পারে। যা হাদীসে জানতে পারি। রমজান মাসে সব চাইতে গোনাহ
মাপের একটি রাত হচ্ছে শবে কদরের রাত। যে রাতে কোনও বান্দা যদি আল্লাহর কাছে
দুহাত ভরে ক্ষমা চাই আল্লাহ তুমি আমার গুনাহ মাফ করে দাও। নিশ্চয়ই আল্লাহ কারও
হাত খালি হাতে ফিরিয়ে দেয় না। এ জন্য শবে কদর রাতে সারারাত ধরে ইবাদত বন্দেগীর
মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করে আমরা পূর্বের সমস্ত গোনাহ গুলো জন্য মাফ
চেয়ে নিতে পারি।আল্লাহ বলেন,"যে ব্যক্তি রমজান মাসে গোনাহ গুলো মাফ চেয়ে নিতে
পারলো না,তার মত হতভাগা আর নেই।"
শবে কদর রাতে যে কাজ করবেন না
শবে কদর রাতে যে কাজ গুলো করবেন না সে বিষয়ে আমি এখন কিছু আলোচনা করবো। আপনি
এতোক্ষন আর্টিক্যাল পরে জানতে পেরেছেন যে রমজান মাসের কদর রাত্রি কত
গুরুত্বপূর্ণ একটি রাত। যা সবার ভাগ্যে জোটে না। আবার যাঁদের ভাগ্যে জোটে
তাঁরাও সঠিকভাবে ইবাদত বন্দেগীর মাধ্যমে রাতটি অতিবাহিত করতে পারে না। সমস্ত
রাতে আমরা মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করে থাকি। যাতে করে সকলের সাথে থেকে নিজেকে
অলসতা মনে না হয়। কারন বাসাতেও এই নামাজ পড়া যাবে।
আমরা মসজিদে গিয়ে বিভিন্ন কাজে লিপ্ত হয়ে পড়ি তাহলে নেকী বদলে গোনাহ নিয়ে
আস্তে হবে। যে কাজগুলো করলে আমাদের মসজিদে আদব নষ্ট হয়ে যায়। মানুষের গুরুত্ব
কমে যায়। সেগুলো আমরা কখনোই করব না। যেমনঃ অযথায় অন্য কারো সাথে গল্প করবো না,
ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে রাত্রি কাটিয়ে দিবো না, চেঁচামেচি বা অন্যান্য কাজ আমরা করব না,
বেশী করে খাবার খাবো না,কারন বেশী খেলে ঘুম পাবে।এই কাজ গুলো ছাড়াও আরো কাজ আছে
যে গুলো আপনার খারাপ মনে হবে সে গুলো করবেন না।বেশী বেশী দূরুদ পড়বেন,দোয়া
যিকির করে রাত অতিবাহত করবেন।
শবে কদর রাতের আলামত সম্পর্কে
শবে কদর রাত চেনার কিছু আলামত আছে। যেগুলো আমরা দেখে বলতে পারি বা অনুমান করে
বলতে পারি যে আজকের রাতটা হয়তোবা শবে কদর রাত। মহানবী (সাঃ) শেষ দশকের বিজোড়
রাত গুলোতে তালাস করতে বলেছেন। তাহলে আমরা নিশ্চিত হয়ে যাব যে কোনও একটা পাঁচটি
রাতের মধ্যে যে কোনও একটি রাত শবে কদর। তার পরেও অনেকের মনে একটা প্রশ্ন জাগে
যে কোন রাতটা আসলে শবে কদর রাত বলে আমরা মনে করতে পারি। মহানবী (সাঃ)
কিছু আলামত দিয়েছেন আমরা হাদিসের আলোকে জানতে পারি।
সেগুলো থেকে বলতে পারব যে আজকের রাতটা শবে কদর। যেমন ধরেন, সেই রাত টা
হবে উজ্জ্বল রাত। রাত দেখে মনে হবে না ঠান্ডা, না গরম। আমরা যাকে নাতিশীতোষ্ণ
বলে থাকি। লাইলাতুল কদরের রাতে উল্কা ছুটে না।( ইবনে খুযাইমাহ,ত্ববারানী);শবে
কদর রাত হয় অনেক প্রশান্ত ও আরাম দায়ক।সকালের সূর্য উঠে হালকা ভাবে ও লাল হয়ে।
এই সব বিভিন্ন কারনে মনে করা যেতে পারে আজ রাত টা শবে কদর।আমাদের সবচাইতে ভালো
হবে ৫টি রাত পালন করা।
শেষ কথাঃশবে কদর রাত পালনের সঠিক নিয়ম
শবে কদরের রাত পালনের সঠিক নিয়ম সম্পর্কে আমরা এতক্ষণ আলোচনা করলাম। এক
কথায় বলা যেতে পারে শবে কদর মুসলিম উম্মাহর জন্য অনেক ফলপ্রসূ ও
মহিমান্বিত রাত। যে রাতের বর্ণনা আল্লাহপাক সরাসরি নিজেই দিয়েছেন। এ রাতে
জন্য আল্লাহ তায়ালা সকল মুমিন ব্যক্তি কে ১০০০ মাসের চেয়েও উত্তম রাত
হিসেবে দিয়েছেন। যা আমরা যদি প্রতি মুহূর্তে যতদিন বেঁচে থাকব যদি আমরা
সঠিক ভাবে পালন করতে পারি তাহলে আমরা অনেক ইবাদত এর মাধ্যমে আল্লাহর
সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারব বলে মনে করি। আপনারা এতক্ষণ শবে কদরের অনেক বিষয়
নিয়ে আর্টিকেল পড়লেন।
আশা করি আপনারা শবে কদর সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারণা পেয়েছেন। তাই সকলেই
রমজান মাসের পবিত্রতা রক্ষা করে ইসলামের নিয়ম গুলো পালন করেন। আপনি যদি শেষ
দশদিনের জন্য ইতিকাফ করতে পারেন তাহলে এই রাতটি কখনও আপনার জন্য হারাবে না।
মসজিদে অবস্থান করা মানে আপনাকে রাত্রি পালন করতেই হবে। এতে করে আপনি যে
কোনও একটি রাত পেয়ে যাচ্ছেন। পরিশেষে আমি একটা কথা বলতে চাই যদি আপনার ভালো
লাগে নিকট বন্ধুর কাছে শেয়ার করবেন।যাতে করে তারাও ইমানের আলোকে চলতে
পারে।
শেষ কথা বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url