অনলাইনে ট্রেনের টিকেট কাটার নিয়ম

অনলাইনে ট্রেনের টিকেট কাটার নিয়ম সম্পর্কে আজকে আমরা আলোচনা করব। আমরা যখন দূর দূরান্তে বেড়াতে যাই বা কাজের জন্য যাই, বিভিন্ন প্রয়োজনে যাই তখন আমরা যারা ট্রেনে চড়তে পছন্দ করি তাদের টিকেটের প্রয়োজন হয়। তখন আমাদের মাথায় ভাবনা আসে ট্রেনের টিকেট

ট্রেনের টিকেট

কাটা যে অনেক ঝামেলা। লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে ঝুট্কি ঝামেলা পোহাতে কারও ভাল লাগে না। আর এর জন্য একমাত্র সহজ মাধ্যম হচ্ছে অনলাইনে টিকেট কাটা। অনলাইনে আপনি খুব সহজেই ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবেন। আমরা জেনে নিই আজকে এই বিষয়গুলো।

পেজ সূচিপত্রঃ অনলাইনে ট্রেনের টিকেট কাটার নিয়ম

অনলাইনে ট্রেনের টিকেট কাটার নিয়ম 

অনলাইনে ট্রেনের টিকেট কাটার নিয়ম ২০২৫ সম্পর্কে আলোচনা করবো। আপনি একজন বাংলাদেশের নাগরিক। আপনার ভ্রমণ পিপাসু মেটানোর জন্য আপনি ট্রেন যাত্রা পছন্দ করে থাকেন। এই জন্য আপনি প্রথমেই ভোগান্তিতে পড়েন টিকিট কাটা নিয়ে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে কি করে একটা টিকেট কাটতে পারবেন। এজন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে ভোগান্তি দূর করার জন্য অনলাইনে টিকিট কাটার সহজ মাধ্যম করে দিয়েছে। আপনার বয়স যদি ১২ থেকে ১৮ এর মধ্যে হয় তাহলে আপনি জন্ম নিবন্ধনের মাধ্যমে আপনি রেলের নিবন্ধন করে ট্রেনের টিকেট কাটতে পারবেন।

তাছাড়া আপনার বয়স ১৮ উপরে হলে বাংলাদেশ সকল নাগরিককে এনআইডি কার্ড বা জন্ম নিবন্ধন বা পাসপোর্ট দিয়ে আপনি রেলের অনলাইন নিবন্ধন করে সহজেই টিকেট কাটতে পারবেন। একজন ব্যক্তি নিবন্ধন দিয়ে মোট ৪টি টিকেট ক্রয় করতে পারবে। টিকেট কাটার জন্য আপনার হাতের মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে হবে। আপনার হাতের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আপনি সহজেই অনলাইন থেকে টিকেট কাটতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে আর কাউন্টারে যাওয়া লাগবে না।

ট্রেনের টিকেট কাটার সহজ পদ্ধতি

ট্রেনের টিকেট কাটা খুবিই সহজ ব্যাপার। আপনি যখন কোথাও ঘুরতে যাবেন বা বেড়াতে যাবেন তখন আপনাকে অবশ্যই ট্রেনের টিকিট কাটতে হবে। কারণ আপনি যেদিন যাবেন সেদিন যদি টিকেট কাটেন তাহলে টিকেট নাও পেতে পারেন। কারণ ট্রেনের টিকিট আগাম কাঁটা লাগে।কারন ট্রেনের টিকেটের চাহিদা বেশী। বাংলাদেশের প্রায় ৬০ থেকে ৭০ ভাগ মানুষই ট্রেন ভ্রমণ করতে পছন্দ করে। যার কারণে আপনি কোথাও যেতে চাইলে আপনাকে আগাম টিকিট কাটতে হবে। টিকেট কাটার জন্য অনলাইনে কিছু সহজ পদ্ধতি আছে।

তা হচ্ছে আপনার এনআইডি কার্ড দিয়ে আপনি ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবেন। এই জন্য আপনাকে আগে রেলের নিবন্ধন করতে হবে। একবার নিবন্ধন করা হলে মোবাইল নাম্বার আর পাসওয়ার্ড মনে রাখতে হবে। তারপর আপনাকে লগ ইন করে সার্চ করতে হবে কোথায় থেকে কোথায় যাবেন ,কতজন যাবেন তারপরে টাকা অনলাইনে পেমেন্ট করে, ভেরিফিকেশন করার পর সেটা ডাউনলোড করে টিকিট কাটার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে। একজনের নিবন্ধন দিয়ে একবারে মোট ৪টি টিকেট কাটতে পারবেন।

অনলাইনে রেলের নিবন্ধন করার পদ্ধতি

অনলাইনে রেলের নিবন্ধন করার পদ্ধতি। রেলের নিবন্ধন করার জন্য আপনার এনআইডি কার্ড বা জন্ম নিবন্ধন লাগবে. আপনি যদি ১৮ বছর বয়সের নিচে হন। তাহলে শুধুমাত্র জন্ম নিবন্ধন দিয়ে আপনি নিবন্ধন কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন। তাছাড়া আপনি আপনার বাবা মায়ের এনআইডি কার্ড দিয়েও অনলাইনে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন। এখন আমরা জেনে নিই কীভাবে নিবন্ধন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করবেন। এজন্য আপনার মোবাইল বা ল্যাপটপে গিয়ে রেল অ্যাপসের মাধ্যমে প্রবেশ করে রেজিস্ট্রার বাটনে চাপ দিতে হবে। সেখানে আপনার মোবাইল এবং এনআইডি নাম্বার ও জন্ম তারিখ দিয়ে ভেরিফিকেশন করতে হবে।



এরপর আপনার ভেরিফিকেশন করা হয়ে গেলে সাবমিট বাটনে চাপ দিতে হবে। এরপর সেখানে আপনার কিছু ব্যক্তিগত তথ্য পূরণ করতে হবে। যেমন আপনার নাম, আপনার মোবাইল নাম্বার, ইমেল অ্যাড্রেস, ঠিকানা এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে আপনার একটা স্ট্রোং পাসওয়ার্ড দিতে হবে। সবকিছু তথ্যগুলো পূরণ করা হয়ে গেলে আপনকে সাইন আপ করতে হবে। তাহলে আপনার বাংলাদেশে রেলওয়ে অ্যাপস এ নিবন্ধন প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ হবে। পরবর্তীতে টিকিট কাটতে গেলে আপনাকে মোবাইল নম্বর এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগ ইন করে অ্যাপসে প্রবেশ করতে হবে। আশা করি বিষয়গুলো বুঝতে পেরেছেন।


মোবাইল ভেরিফিকেশন করার সহজ উপায়

মোবাইল ভেরিফিকেশন করার সহজ উপায়। মোবাইল ভেরিফিকেশন হচ্ছে আপনি যখন রেলসেবা অ্যাপে প্রবেশ করবেন নতুন ভাবে রেজিস্ট্রেশন করার জন্য। তখন আপনার এনআইডি নাম্বার, মোবাইল নাম্বার, জন্মতারিখ দিয়ে সাবমিট করবেন। এরপর আপনাকে একটি ভেরিফিকেশন করার জন্য একটি কোড পাঠানো হবে। আপনার পূরন করা সেই নাম্বারে। এ জন্য অবশ্যই যে মোবাইল নম্বরটি দেবেন সেই মোবাইল নম্বরটি সচল থাকা লাগবে। দেখা যাচ্ছে আপনি এমন একটি নাম্বার দিলেন সে নাম্বারটা আপনার কাছে এই মুহূর্তে নেই।


তাহলে আপনার কাজটি করতে সমস্যা হবে। তাই আপনার হাতের কাছে এবং সচল নাম্বারটি আপনি দিয়ে ভেরিফিকেশন করবেন। এখন আপনার মোবাইলের ৬ সংখ্যার একটি কোড যাবে। সেই কোডটি আপনি দেখে সঠিক ভাবে পূরণ করবেন। সেটা অবশ্যই এক মিনিটের কম সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে। সময় পার হয়ে গেলে ওটা আর হবে না। তখন আবার পূনরায় আপনাকে রিসেন্ট বাটনে চাপ দিয়ে কাজটি করতে হবে।এরপর কন্টিনিউ বাটনে চাপ দিতে হবে।এভাবে কাজ শেষ করতে হবে।

নতুন ভাবে রেজিষ্টার লগ ইন করা

নতুন ভাবে রেজিষ্টার লগ ইন করে ট্রেনের টিকেট কাটতে হবে। আপনি যদি রেলসেবা অ্যাপে নতুন ভাবে রেজিস্ট্রার করেন। তাহলে আপনার সবকিছু কাজ হয়ে যাবার পর। আপনাকে নতুন ভাবে রেল সেবা অ্যাপ প্রবেশ করার জন্য রেজিস্ট্রার লগ ইন করতে হবে। এই জন্য আপনাকে অবশ্যই সেই নম্বরটি বসাতে হবে যে নাম্বারটা দিয়ে আপনি রেজিস্টার করেছিলেন এবং পাসওয়ার্ড দিতে হবে। তারপর লগইন করলে আপনি খুব সহজেই রেলসেবা অ্যাপে ঢুকে যেতে পারবেন এবং সেখানে আপনার কাঙ্খিত কাজটুকু করতে পারবেন।

এখন মনে করেন আপনি রেজিস্ট্রার লগ ইন করার সময় পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন তাহলে কি করবেন। এইজন্য একটু বলে রাখি যাতে আপনাদের পরবর্তীতে কোনও সমস্যা না হয়। তখন আপনাকে ফরগেট পাসওয়ার্ড চাপ দিতে হবে। পাসওয়ার্ডের চাপ দেওয়ার পর আপনার নতুন করে পাসওয়ার্ড চাইবে। তখন আপনি অবশ্যই পাসওয়ার্ডটি ভালো ভাবে দেবেন এবং প্রয়োজনে অন্য জায়গাতে নোট করে রাখবেন যাতে পরবর্তী ভুলে না যান। তাহলে আপনার নতুন করে আবার পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে অ্যাপসে প্রবেশ করতে পারবেন।
ট্রেনের টিকেট

ট্রেন এর সিডিউল সার্চ করা

ট্রেন এর সিডিউল সার্চ করার জন্য প্রথমে আপনাকে লগ ইন করে প্রবেশ করতে হবে। এতে প্রবেশ করার পর আপনি এখন ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য আপনাকে শিডিউল সার্চ করতে হবে। এ জন্য।এই সহজ কাজটি করার জন্য আপনাকে প্রথমে ভাবতে হবে কথায় থেকে ট্রেনে উঠবেন,আর কথায় নামবেন। ধরেন From মানে যেখান থেকে আপনি ট্রেনে চড়বেন।সেটা সিলেক্ট করুন। এরপর To মানে যেখানে গিয়ে নামবেন। সেটা সিলেক্ট করুন। অর্থাৎ আপনি যদি রাজশাহী থেকে ঢাকা যেতে চান।


তাহলে From এর জায়গায় রাজশাহী এবং To এর জায়গায় ঢাকা সিলেক্ট করবেন। এরপর কেমন ধরনের সিট নিবেন সেটা সিলেক্ট করা। যদি এসি নেন বা নন এসি নেন তা সঠিক ভাবে সিলেক্ট করতে হবে। তারপর আপনি কোন দিনে যাবেন সে তারিখ আপনাকে উল্লেখ করতে হবে। তারপর সার্চ দিলেই আপনার ট্রেনের শিডিউল এবং সবকিছু আপনার কাছে পরিষ্কারভাবে চলে আসবে। তবে বলে রাখা ভালো ট্রেনের টিকেট যাওয়ার দিন কাটলে না পাওয়ার সম্ভাবনা বেশী।এ জন্য টিকেট ছাড়ার পরপরিই কাটা ভালো।

ট্রেনের সিট বুকিং করার উপায়

ট্রেনের সিট বুকিং করার উপায় জেনে নিই। আপনি অ্যাপ থেকে লগইন করার পর কোথায় যাবেন কোথায় নামবেন,ডেট সবকিছু পূরন করে সাবমিট করে। এখন আপনাকে ট্রেনের সিট বুকিং করতে হবে। আপনি কোন ধরনের বগিতে যেতে চান সেটা উপর চাপ দিয়ে আপনাকে বুকিং করতে হবে। একজন ব্যক্তি বাংলাদেশ রেলওয়েতে নিবন্ধন করার পর, তাঁর আন্ডারে সে ৪ সিট বুকিং করতে পারবে। এজন্য যদি তার বেশি হয় তাহলে তাকে অন্য জনের মাধ্যম দিয়ে দুজন ব্যক্তি মিলে সিট বুক করতে হবে। তো চার জনের মধ্যে হলে অবশ্যই একজন ব্যক্তির নিবন্ধনের মাধ্যমে সেটা বুকিং করা সম্ভব।


এখন আপনি সিটটা বুকিং দিবেন। বুকিং দেওয়ার জন্য সেটা আপনাকে চাপ দিতে হবে। চাপ দিলে সেই জায়গার উপর অন্য কালার হয়ে যাবে। এরপরে আপনাকে প্রসেসিংয়ের চাপ দিতে হবে। প্রসেসিংয়ে চাপ দেওয়ার পর আপনাকে টিকিটের মূল্য উল্লেখ করে দেবে। টিকিটের দাম কত এবং যেহেতু আপনি অনলাইনে টিকেট কাটছেন এইজন্য মোবাইল ব্যাংকিংকে সার্ভিস চার্জ হিসাবে ২০ টাকা দিতে হবে প্রতি সিট এর জন্য। এখন আপনি যদি দুটি সিট বুকিং করেন তাহলে আপনাকে ৪০ টাকা সার্ভিস চার্জ দিতে হবে। আশা করি বিষয়টা বুঝতে পেরেছেন।

টিকেটের টাকা পেমেন্ট করার পদ্ধতি

টিকেটের টাকা পেমেন্ট করার পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করবো। আপনার সিট বুকিং দেওয়ার পর এখন আমাদের টিকিটের টাকা পেমেন্ট করতে হবে। কিন্তু টাকা পেমেন্ট করার জন্য অনেক গুলো মোবাইল ব্যাঙ্কিং এর মাধ্যম রয়েছে। যেগুলো থেকে আপনি একটা বেছে নিয়ে টাকা পেমেন্ট করতে পারবেন। যেমন বিকাশ,নগদ ,রকেট ইত্যাদি মোবাইল ব্যাঙ্কিং রয়েছে। যেখান থেকে আপনি খুব সহজেই পেমেন্ট করতে পারবেন। এ জন্য প্রথমে সিট বুকিং দেওয়ার পর প্রসেসিং করে মোবাইলে ৪ সংখ্যার একটি কোড যাবে।



সেটা পূরণ করার পর আপনি যে কোনো মোবাইল ব্যাংকিং সিলেক্ট করার পরে মোবাইল নাম্বার দিতে হবে। এখন নাম্বার দেওয়ার পর আপনাকে আবার একটি ৬ সংখ্যার ভেরিফিকেশন কোড পাঠানো হবে। সেটা কনফার্ম করার পর আপনি আপনার পিন নাম্বার সেট করবেন। পিন নাম্বার সেট করার পর কনফার্ম হয়ে গেলে আপনার টিকিটটি কাটা সম্পন্ন হবে। এরপরে আপনি সেটা ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নিন। আপনার নিজের অ্যানড্রয়েড মোবাইলে টিকিট টি থাকলে সেটা প্রিন্ট না করলেও হবে সরাসরি ওটা দিয়েও কাজ চালানো যাবে।

টিকেট কেটে বাতিল করার নিয়ম

টিকেট কেটে বাতিল করার নিয়ম জেনে নিব। টিকিট কেটে তা ফেরত দেওয়ার জন্য কিছু নিয়ম অবলম্বন করতে হবে। তাহলে আপনি ট্রেনের টিকিট বাতিল করতে পারবেন। এখন আপনার প্রশ্ন হতে পারে যে কেন বাতিল করবেন। ধরুন আপনি ভ্রমন করার ৭ দিন আগে টিকেট কেটেছেন। এখন আপনার যাত্রার ১ দিন আগে বা ২ দিন আগে যে কোনো কারণে বা অনাকাঙ্খিত কারণে আপনার যাত্রা বাতিল করতে হবে। তাহলে আপনি কী করবেন নিশ্চয়ই টিকেট টি বাতিল করার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়বেন।

এর জন্য আপনাকে কাউন্টারে যেতে হবে। আপনি অনলাইন এ কাটেন আর অফলাইনে কাটেন। আপনাকে টিকিট বাতিল করার জন্য কাউন্টারে যাওয়া লাগবে। সেখানে গিয়ে আপনি বলবেন। এখন এটার জন্য কিছু আবার চার্জ কাটা হয়। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গেলে ২৫%, ২৪ ঘণ্টা আগে গেলে ৫০%, ১২ ঘন্টা আগে গেলে ৭৫% চার্জ কাটা হয়। আবার ৬ ঘন্টার কম সময় থাকলে কোন টাকা ফেরত দেয়া হয় না। মানে সময়ের উপর নির্ভর করে আপনার টিকিটের মূল্য হ্রাস পাবে। অনলাইনে টিকিট কাটার জন্য যে সার্ভিস চার্জ গ্রহণ করে সেটা অবশ্যই অফেরতযোগ্য।
ট্রেনের টিকেট

শেষ কথাঃ অনলাইনে ট্রেনের টিকেট কাটার নিয়ম 

অনলাইনে ট্রেনের টিকেট কাটার নিয়ম সম্পর্কে এতক্ষণ আলোচনা করলাম। আপনি নিশ্চয়ই ইতিমধ্যে বুঝে গেছেন যে কীভাবে ঘরে বসে মোবাইলের মাধ্যমে অনলাইনে টিকিট কাটা যায়। এতক্ষণ ধরে আমি যে বিষয়গুলো নিয়ে কথা বললাম। আশা করি আপনার টিকিট কাটার বিষয়ে আর কোনও সমস্যা হবে না। কারণ টিকিট কাটা খুব বেশি কঠিন কাজ না। এটা একটু বুঝে শুনে কাটলে অনেক সহজে হয়ে যায়। যেমন ধরেন মুসলিমদের জন্য দুই ঈদে টিকিট কাটার জন্য স্টেশনে কী পরিমাণ ভিড় থাকে যাঁরা ট্রেন ভ্রমন করে শুধুমাত্র তাঁরাই এই দুর্ভোগটা বুঝতে পারে।

তাছাড়া অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের বেলাতে এই সমস্যা গুলো হয়ে থাকে। যার কারণে কাউন্টারে গিয়ে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে টিকিট কাটা অসম্ভব হয়ে পড়ে। যার কারণে বাংলাদেশ রেলওয়ে অনলাইনের মাধ্যমে টিকেট কাটার ব্যবস্থা করেছে। যা ভ্রমন পিয়াসু মানুষদের জন্য অনেক সুবিধা হয়েছে। সবশেষে আমি বলতে চাই। যদি আমার আর্টিকেলটি পড়ে আপনার কোনও রকমে উপকৃত হন। অবশ্যই আপনার নিকটতম বন্ধুদের কাছে এ বিষয়ে শেয়ার করবেন। যাতে করে তারা এই আর্টিকেল টির মাধ্যমে উপকৃত হয়।








এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

শেষ কথা বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url